প্রশ্নোত্তর । \) না হ’ন ; না আপনার নিকটে—না অষ্ঠের নিকটে—কাহারো নিকটে কোনকালে প্রকাশিত না হন, আর কোনোকালে যে কাহারে নিকটে প্রকাশিত হইবেন—মূলেই যদি তাহার সম্ভাবন না থাকে, তাহা হইলে “সত্য-আছেন"-কথাটাই মিথ্যা হইয়া যায়। সত্য যদি প্রকাশই না পা’ম, তবে তিনি যে আছেন, তাহা কে বলিল ? তাহার প্রমাণ কি ? সত্য যদি তোমার নিকটে জন্মেও প্রকাশ না-পাইয় থাকেন, আর, তবুও যদি তুমি বলে। সত্য আছেন", তবে তোমার সে কথার মুলা—এক কানাকড়িও নহে। দ্বিপ্রহর রজনীতে তুমি যখন প্রগাঢ় নিদ্রায় অভিভূত ছিলে, তখন তুমি ভাবিতেও পার নাই যে, সতী বলিয়া এক অদ্বিতীয় ধ্রুবপদার্থ সৰ্ব্বত্র সৰ্ব্বকালে বিদ্যমান। তোমার নিদ্রাভঙ্গে যখন তোমার নবোল্মীলিত চক্ষে চেতনের কপাট এবং দিক্চক্রবালে আলোকের কপাট—এক কপাট মৰ্ত্ত্যলোকে এবং আর-এক কপাট স্বৰ্গলোকে—দুই লোকে দুই কপাট একই সময়ে উদঘাটিত হইল, আর, সেই শুভযোগে যখন তুমি উপরে নীচে আশেপাশে এবং চারিদিকে চাহিয়া-দেখিয়া জানিতে পারলে যে, বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড কল্যও যাহা ছিল—অদ্যও তাহাই আছে, আর, সেই সঙ্গে যখন দেখিলে যে, বিশ্বজননী প্রকৃতির ক্রোড়ে কল্যও যেমন নিঃশঙ্কচিত্তে বসিয়াছিলে, অন্তও তেমনি নিঃশঙ্কচিত্তে বসিয়া আছ, তখন তোমার মন বলিল যে, সত্য আছেন, আর, তোমার স্ববুদ্ধি তৎক্ষণাৎ তাহাতে সায় দিল। “কে তোমাকে জাগাইয়া তুলিল ?” এখন তোমার মুথে কথা ফুটিয়াছে, তাই তুমি বলিতেছ “আমাকে কেহই জাগাইয়া তোলে নাই—আমি আপ্নি জাগিয়া উঠিয়াছি।” এটা তুমি দেখিতেছ না যে, তুমি যাহাকে বলিতেছ “আমি আপ্নি" —তোমার গৰ্তরাত্রের প্রগাঢ় নিদ্রাবস্থায় সে আপ্লি ছিলই না
পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭
অবয়ব