পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হাস্যকৌতুক

 বনমালী। (সগর্বে) বাবা আমাকে বলে ভুতু।

 তিনকড়ি। আচ্ছা ভুতুবাবু, তোমার ডান হাত কোন্‌টা বলো দেখি।

 বনমালী। (ডান হাত তুলিয়া) এইটে ডান হাত।

 তিনকড়ি। আচ্ছা তোমার বাঁ হাত কোন্‌টা বলো দেখি।

 বনমালী। (বাম হাত তুলিয়া) এইটে।

তিনকড়ি। (খপ্‌ করিয়া পাত হইতে একটা সন্দেশ তুলিয়া নিজের মুখের কাছে ধরিয়া) আচ্ছা ভুতুবাবু, এইটে কী বলো দেখি।

বনমালীর শশব্যস্ত হইয়া কাড়িয়া লইবার চেষ্টা

 তিনকড়ি। (সরোষে পৃষ্ঠে চপেটাঘাত করিয়া) এতবড়ো ধেড়ে ছেলে হলি, এইটে কী জানিস নে! এটা সন্দেশ। এটা খেতে হয়।

তিনকড়ির মুখের মধ্যে সন্দেশের দ্রুত অন্তর্ধান

 বনমালী। (পৃষ্ঠে হাত দিয়া) ভ্যাঁ—

 তিনকড়ি। ছি ছি ভুতুবাবু, তোমার জ্ঞান হবে কবে বলো দেখি। এইটে জান না যে পেটে খেলে পিঠে সয়?

আরেকটা সন্দেশ মুখের ভিতর পূরণ

 বনমালী। (দ্বিগুণ বেগে) ভ্যাঁ―

 তিনকড়ি। তবে, তুমি কি বল পেটে খেলে পিঠে সয় না? এই দেখো না কেন, পেটে খেলে―

আরেকটা সন্দেশ খাইয়া

পিঠে সয়―

বনমালীর পৃষ্ঠে চপেটাঘাত

সয় না?