পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পেটে ও পিঠে

 ভুতুর মা। (পাতে চারটে পিঠে দিয়া) বাবা, চুপ করে বসে থাকলে হবে না, এ চারখানাও খেতে হবে।

 তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।

আহার

ভুতুর বাপের প্রবেশ

 পিতা। ওকি ও, পাত খালি যে, ওরে খান-আষ্টেক পিঠে দিয়ে যা।

পিঠে-দেওন।

 বাবা, খেতে হবে। এরই মধ্যে হাত গুটোলে চলবে না।

 তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।

আহার

পিসিমার প্রবেশ

 পিসিমা। (ভুতুর মার প্রতি) ও বউ, তিনকড়ির পাত খালি যে। হাঁ করে দাঁড়িয়ে দেখছ কী? ওকে খানদশেক পিঠে দাও। লজ্জা কোরো না বাবা, ভালো করে খাও।

 তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।

পিসেমহাশয়ের প্রবেশ

 পিসেমহাশয়। বাপু, তোমার খাওয়া হল না দেখছি। দিয়ে যা, দিয়ে যা, এদিকে দিয়ে যা। পাতে খানপনেরো পিঠে দে। তোমাদের বয়সে আমরা খেতুম হাঁসের মতো। সবগুলি খেতে হবে তা বলছি।

 তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।

দিদিমার প্রবেশ

 দিদিমা। (ভুতুর মার প্রতি অন্তরালে) ও বউ, পিঠে তো সব ফুরিয়ে গেছে আর একখানাও বাকি নেই।

 ভুতুর মা। কী হবে!