পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হাস্যকৌতুক

 হারাধন। এ তো আমার রোজই হয়।

 পিতা। আমি দেখছি তুমি জেলে গিয়েই মরবে!

 হারাধন। না বাবা, রোজ চৈতন্য পেলে ঘরে মরব।

 পিতা। নাঃ, তোকে আর পেরে উঠলেম না।

 হারাধন। (চুপড়ির দিকে চাহিয়া) বাবা, তাল এনেছ কার জন্যে? আমি খাব।

 পিতা। (পৃষ্ঠে কিল মারিয়া) এই খাও!

 হারাধন। (পিঠে হাত বুলাইয়া) এ তো ভালো লাগল না!

 নেপথ্যে। হারু!

 হারাধন। কী মা।

 নেপথ্যে। তোর জন্যে তালের বড়া করে রেখেছি— খাবি আয়।

খোঁড়াইতে খোঁড়াইতে হারাধনের প্রস্থান

দ্বিতীয় দৃশ্য

ডাক্তার সাহেবের আস্তাবলে হারাধন হাঁস চুরি-করণে প্রবৃত্ত

 পিতা। (দূর হইতে) হারু।

 হারাধন। ওই রে, বাবা আসছে, কী করি।

হারাধনের গলা হইতে পেট পর্যন্ত থলি ঝুলিতেছিল

তাড়াতাড়ি থলির মধ্যে হাঁস পুরিয়া ফেলিল।

 পিতা। হারু!

নিরুত্তর

 হারা!

নিরুত্তর

 হেরো!

১৮