পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হাস্যকৌতুক

  প্রথম। আমাদের স্বর্ণশস্যশালিনী পুণ্যভূমি ভারতবর্ষ দারিদ্র্যের অন্ধকূপে—

 দুকড়ি। (সকাতরে মাথায় হাত দিয়া বসিয়া) বলে যান।

 প্রথম। দারিদ্র্যের অন্ধকূপে দিনে দিনে নিমজ্জমানা—

 দুকড়ি। (কাতর স্বরে) মশায়, বুঝতে পারছি নে।

 প্রথম। তবে আপনাকে প্রকৃত ব্যাপারটা বলি–

 দুকড়ি। (সানন্দে সাগ্রহে) সেই ভালো।

 প্রথম। ইংরেজেরা লুঠ করছে।

 দুকড়ি। এ তো বেশ কথা। প্রমাণ সংগ্রহ করুন, ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে নালিশ রুজু করি।

 প্রথম। ম্যাজিস্ট্রেটও লুঠছে।

 দুকড়ি। তবে ডিষ্ট্রিক্ট জজের আদালত—

 প্রথম। ডিষ্ট্রিক্ট জজ তো ডাকাত।

 দুকড়ি। (অবাকভাবে) আপনার কথা আমি কিছু বুঝতে পারছি নে।

 প্রথম। আমি বলছি দেশের টাকা বিদেশে চালান যাচ্ছে।

 দুকড়ি। দুঃখের বিষয়।

 প্রথম। তাই একটা সভা—

 দুকড়ি। (সচকিত) সভা!

 প্রথম। এই দেখুন না খাতা।

 দুকড়ি। (বিস্ফারিতনেত্রে) খাতা!

 প্রথম। কিঞ্চিৎ চাঁদা—

 দুকড়ি। (চৌকি হইতে লাফাইয়া উঠিয়া) চাঁদা! বেরোও— বেরোও— বেরোও —

8o