পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হাস্যকৌতুক

  দুকড়ি। তবু ভালো। এ কিছু নতুন ঠেকছে বটে। কিন্তু মশায় ওগুলোও থাক— ভাষায় কথা আরম্ভ করুন!

 তৃতীয়। আমাদের একটা লাইব্রেরী—

 দুকড়ি। লাইব্রেরী? সভা নয় তো?

 তৃতীয়। আজ্ঞে, সভা নয়।

 দুকড়ি। আ বাঁচা গেল। লাইব্রেরি। অতি উত্তম। তার পরে বলে যান।

 তৃতীয়। এই দেখুন না প্রস্পেক্টস—

 দুকড়ি। খাতা নেই তো?

 তৃতীয়। আজ্ঞে না— খাতা নয়, ছাপানো কাগজ।

 দুকড়ি। আ!— তার পরে।

 তৃতীয়। কিঞ্চিং চাঁদাঁ।

 দুকড়ি। (লাফাইয়া) চাঁদাঁ! ওরে, আমার বাড়ি আজি ডাকাত পড়েছে রে! পুলিসম্যান পুলিসম্যান।

তৃতীয় ব্যক্তির উর্ধ্বশ্বাসে পলায়ন
হরশংকববাবুর প্রবেশ

 দুকড়ি। আরে এস, এস, হরশংকর এস। সেই কালেজে এক সঙ্গে পড়া— তার পরে তো আর দেখা হয় নি— তোমাকে দেখে কী যে আনন্দ হল সে আর কী বলব।

 হরশংকর। তোমার সঙ্গে সুখদু:খের অনেক কথা আছে ভাই— সে সব কথা পরে হবে, আগে একটা কাজের কথা বলে নিই।

 দুকড়ি। (পুলকিত হইয়া) কাজের কথা অনেকক্ষণ শুনি নি ভাই— বলো, শুনে কান জুড়োক।

শালের মধ্য হইতে হরশংকরের খাতা বাহিব-করণ
৪২