পাতা:হাস্য-কৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
হাস্য-কৌতুক

 চতুর্ভুজ।  (তাহাকে এক চপেটাঘাত) দিন রাত্রি কেবল বেড়াল, বেড়াল বেড়াল!

 মা।  বাছা সাধে রাগ করে! এত দিন পরে বাড়ি এল, ছেলেগুলাে বিরক্ত করে খেলে। যা, তােরা সব যা! (চতুর্ভুজের প্রতি) আমাকে দাও বাছা—দুধভাত রেখে দিয়েছি, আমি তােমার বেড়ালকে খাইয়ে আনচি।

 চতু।  (সরােষে) এই নাও মা, তােমরা বেড়ালকেই খাওয়াও আমি খাবনা, আমি চল্লেম।

 মা।  (সকাতরে) ও কি কথা! তােমার খাবার ত তৈরি আছে বাপ, এখন নেয়ে এলেই হয়।

 চতু।  আমি চল্লেম—তােমাদের দেশে বেড়ালেরই আদর—এখানে গুণবানের আদর নেই! (বেড়ালের প্রতি লাথি বর্ষণ)

 মাসি মা।  আহা ওকে মেরাে না—ও ত কোনাে দোষ করেনি!

 চতু।  বেড়ালের প্রতিই যত তােমাদের মায়া মমতা—আর মানুষের প্রতি এক্‌টু দয়া নেই!

(প্রস্থান)

 ছােট মেয়ে।  (নেপথ্যের দিকে নির্দেশ করিয়া) হরি খুড়াে দেখে যাও ওর লেজ কত মােটা!

 হরি।  কার?

 মেয়ে।  ঐ যে ওর!

 হরি।  চতুর্ভুজের?

 মেয়ে।  না, ঐ বেড়ালের।