( ১৭ )
বা কেন অবাঞ্ছনীয় হইবে? কিন্তু যথেচ্ছাচারের সহিত আমাদের সম্মুখ সংগ্রাম। হিন্দুগণ সকল দেশের ভাষা ও সকল দেশের শাস্ত্র অধ্যয়ন করিবেন, তাহার সন্দেহ কি? কিন্তু তাঁহারা আপনাদের দেশীয় ভাষা ও সংস্কৃত শাস্ত্রকে কখনই অবহেলা করিতে পরিবেন না। তদুভয় অগ্রেই আয়ত্ত করিতে হইবে, নতুবা তাঁহারা উন্নতির সুপথ প্রাপ্ত হইবেন না। যথার্থ সুখ, যথার্থ স্বচ্ছন্দতা, যথার্থ স্বাধীনতা, যথার্থ সভ্যতা, যথার্থ মঙ্গল, হিন্দুদিগের চিরদিনের আকাঙ্ক্ষিত ও উপভোগ্য বিষয়; এক দিনের নিমিত্তও আমরা তাহা গ্রহণ করিতে কুণ্ঠিত হইব না; এক দিনও আমরা উন্নতি-বিমুখ হুইব না; উন্নতির গণনায় কোন জাতির—কোন মনুষ্যের নিকট হীন প্রতিপন্ন হওয়া আর্য্য-ধর্ম্ম-সঙ্গত নহে, ইহা চির দিনই আমাদের স্মরণে থাকিবে।
বয়োবৃদ্ধ পিতৃগণ! বয়ঃকনিষ্ঠ ভ্রাতৃগণ! সমবয়স্ক বন্ধুগণ! আইস আমরা সকলে সমবেত চেষ্টা দ্বারা আমাদের সমাজের উন্নতি—দেশের উন্নতি সংসাধন করি। আর্য্যদিগের উপাৰ্জ্জিত মহামূল্য জ্ঞান ধর্ম্মের উপযুক্ত সদ্ব্যবহার করি—হিন্দু নামের চির গৌরব রক্ষা করি। কি আশ্চর্য্য! পিতৃপুরুষগণ আমাদিগকে অক্ষয় ধনে ধনী করিয়া গিয়াছেন এবং আমাদের উন্নতির উচ্চতর ও বহুকালস্থায়ী সুদৃঢ় সোপান বাঁধিয়াও দিয়া গিয়াছেন। আমরা কি ঐ সকল সম্পদ ভোগ করিতেও পারিব না? সৎপুত্রের ন্যায় পিতৃ পুরুষ দিগের আসন পরিগ্রহ করিতে পারিব না? কিসের বিঘ্ন! কিসের