পাতা:হিন্দুজাতি; তাহার বর্ত্তমান অভাব ও তাহার কর্ত্তব্য.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(  )

সেই হিন্দু নামকে উৰ্দ্ধে উত্থাপিত করিয়াছে এবং ইহার মলিনতা বিধৌত করিয়া ইহার পূর্ব্ব পরিচয় সকল প্রকাশ করিতেছে। হিন্দুমেলা সংস্থাপনাবধি হিন্দুদিগের এই সংস্কার জন্মিবার উপায় হইয়াছে যে আমাদের জাতিসাধণরণের বলিয়া একটী কিছু আছে, যাহাতে সকল হিন্দুরই অধিকার—যাহা হিন্দুদিগের দুর্গ স্বরূপ- যেখানে যাহা কিছু হিন্দু বলিয়া পরিজ্ঞাত হয় তাহা স্থান প্রাপ্ত হইবে—যেখানে কেবল হিন্দু দৃশ্যই দৃশ্যমান হইবে।

 এক সময় ছিল, যখন পৃথিবীতে হিন্দু দৃশ্য ভিন্ন লোক ব্যবহারের মধ্যে আর সুদৃশ্য কিছুই ছিল না। তখন হিন্দুগণ অন্যান্য জাতির উন্নতি সাধক ছিলেন। তখন প্রকৃত অর্থে আর কোন জাতিরই জাতিত্ব উৎপন্ন হয় নাই; হিন্দু জাতিকে আর কোন জাতির সহিত প্রতিযোগিতায় পড়িয়া উন্নতি শিক্ষা করিতে হয় নাই। হিন্দুগণ আর কোন জাতিকে আপনাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেখেন নাই বলিয়া, তাঁহারা আপনাদের কোন জাতীয় নাম, জাতীয় আকার বা জাতীয় বন্ধন ব্যবস্থাপিত করেন নাই। তাঁহারা আর্য্য নামে প্রথিত হইয়াছেন—তাহাই তাঁহারদের তখনকার ভাবসঙ্গত ও তাঁহাদের উপযুক্ত নাম। এখন আমরা দেখিতেছি, পৃথিবীতে নানা জাতি উৎপন্ন হইয়াছে—এক একটী জাতি সভ্যতা পদবীতে অধিরূঢ় হইয়া আপনাদের জাতীয় গৌরব বৃদ্ধি করিতেছে—এখন স্বজাতির নামে এক এক লোকের শরীর রোমাঞ্চিত হইতে দৃষ্ট হয়। এমন কালে এই প্রাচীন