পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুষানল » 0) arr-M-N-Me আধ্যাত্মিক উন্নতি বড় বেশী হয় নাই। ইউরোপের সামান্ত” লোককে এখানকার পল্লিগ্রামের বড় বড় জমিদার অপেক্ষা সমৃদ্ধিশালী বলিয়া বোধ হয়, এখানকার সামান্য লোকও ধৰ্ম্মজ্ঞানে এবং ধৰ্ম্মচৰ্য্যায় ইউরোপের অনেক বড় বড় লোকের সমকক্ষ। কেহ কেহ বলিবেন যে হিন্দুর উন্নতি উৎকৃষ্ট হইলেও তাহার ফল মৃত্যু-প্রমাণ, ইউরোপ কর্তৃক এসিয়ার বাণিজ্য হরণ। এ কথা সত্য হইলেও জিজ্ঞাস্য এই যে, ইউরোপের উন্নতির ফলও কি মৃত্যু নয় ? একটু ভাবিয়া দেখিলে বুঝিতে পরিবে যে দেহের মৃত্যু যদি হিন্দুর উন্নতির ফল হইয়া থাকে, আত্মার মৃত্যু ইউরোপের উন্নতির ফল হইতে পারে। কোন মৃত্যুটা ভাল পাঠক বিচার করিবেন। কি এ দেশীয় শাস্ত্ৰ কি বিদেশীয় শাস্ত্ৰ সকল শাস্ত্ৰেই বলে ধৰ্ম্মযুদ্ধে মরিলে অক্ষয় স্বৰ্গ হয়। কিন্তু আসল কথা এই যে, ধৰ্ম্মপ্রধান হইলে যে মরিতেই হইবে এমন কোন কথাই নাই। হিন্দু ধৰ্ম্মপ্ৰধান বলিয়া পরাধীন হয় নাই। হিন্দু মুসলমানে যখন হিন্দুস্থান লইয়া যুদ্ধ হয় তখন হিন্দুর সামরিক শক্তি প্রভৃতি পরিমাণে বৰ্ত্তমান ছিল ৷ হইতে পারে যে তাহার স্বদেশানুরাগ বা patriotism ছিল না, কিন্তু রাজস্থানে যে রাজভক্তিকে স্বদেশানুরাগের কাৰ্য্য করিতে দেখা গিয়াছে।” সে রাজভক্তি ত প্ৰভূত পরিমাণে বৰ্ত্তমান ছিল। তবে কেন হিন্দু পরাধীন হইল ? অনুসন্ধান করিলে বুঝিতে পারা যায় যে ধৰ্ম্মপ্রধান না হইয়াও এবং স্বদেশানুরাগী হইয়াও গ্ৰীক যে কারণে পরাধীন হইয়াছিল, হিন্দুও সেই কারণে পরাধীন হইয়াছিল-অৰ্থাৎ দেশ অনেক গুলি ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হইয়া