পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e হিন্দুত্ব, তঁহাদের সে ক্ষমতা নাই বলিলেই হয় । কিন্তু দেখিলাম যে কষ্টসহিষ্ণুতাতে হিন্দুর হিন্দুত্ব, হিন্দুর মহত্ব, হিন্দুর ইউরোপের উপর প্রাধান্য। সে কষ্টসহিষ্ণুতা হারাইলে, আমরা সব হারাইব-আমাদের বর্তমান তমসাচ্ছন্ন, আমাদের ভৱিষ্যৎ বিলুপ্ত হইবে। 鬱 একষ্ট ভিন্ন উন্নতি নাই। দেখিলাম হিন্দুর কষ্টভোগ করিাবার যত ক্ষমতা আছে আর কাহারো তত নাই। অতএব আমাদের ইতিহাসের এই কষ্টসহিষ্ণুতার কথাটিই আমাদের সমস্ত আশা ভরসার মূল। যদি আবার তেমনি কষ্টভোগ করিতে পারি। তবে আবার তেমুনি উন্নত, তেমনি মহৎ হইব। হিন্দুকে আজ এই আশা, এই আকাঙ্ক্ষা করিতে হইবে। এই আশায় এই আকাজক্ষায় উৎসাহিত হইয়া আমাদিগকে এখন মানুষ হইবার জন্য চেষ্টা করিতে হইবে, যত্ন করিতে হইবে, পরিশ্রম করিতে হইবে। কোন পথে চলিলে সে চেষ্টা, সে যত্ন, সে পরিশ্রম সফল হইবে প্রথম হইতেই তাহা ঠিকু করিয়া লইতে হইবে। প্রথম হইতে পথ ঠিক করা সকল কাৰ্য্যেরই প্রকৃত পদ্ধতি। এবং এরূপ গুরুতর কাৰ্য্যে তাহা নিতান্ত আবশ্যক। সকল কাৰ্য্যই কষ্টসাধ্য। কিন্তু কষ্ট দুই প্ৰকার। বসিয়া বসিয়া পরিশ্রম করা এক প্রকার ; ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইয়া পরিশ্রম করা আর এক প্রকার । আমরা দেখিয়াছি যে স্থির হইয়া ঘরে বসিয়া হিন্দ, অনেক কষ্ট সহ্য করিতে পারেন। প্রাচীন কাল হইতে হিন্দু এই প্রণালীতে কষ্ট ভোগ করিয়াছেন। অতএব এমন অনুল মান করা যাইতে ‘পারে যে এই প্ৰণালীতে কষ্টভোগ করা