পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহার । ১৬৩ লেই যে পশুর ন্যায় লুব্ধ হইয়া খাইতে, হয়, এমন কোন কথাই নাই। মাংসাদি লুব্ধ হইয়া না খাইলে যে মাংসাদি খাইবার ফল হয় না, এমন কোন প্রমাণও নাই। তাই বলি, বিদ্যাবুদ্ধিতে তুমি যতই নিকৃষ্ট হও না, সমাজে তোমার স্থান যতই নিম্ন হউক নী, তুমি মানুষ, পশু হইতে শ্রেষ্ঠ, পক্ষী হইতে শ্ৰেষ্ঠ, কীটপতঙ্গাদি হইতে শ্রেষ্ঠ, পশু পক্ষী কীটপতঙ্গাদির ন্যায় তুমি লুব্ধ হইয়া খাইও না । তোমারও তা পরকাল আছে, তোমাকেও তা ইহকালের ভাবনা অপেক্ষা পরীকালের ভাবনা বেশী ভাবিতে হইবে। অতএৱ তোমার আহার সাত্ত্বিক আহার না হউক, সাত্ত্বিকভাবেবু, আহার যেন হয়। সমাজের উচ্চ, নীচ, পণ্ডিত, মুৰ্থ, সকলেই যদি সাত্ত্বিকভাবাপন্ন হইতে পারেন, বা হইবার চেষ্টা করেন, তাহাতে ত কোন দোষ হইতে পারে না। অন্যান্য জাতি সে চেষ্টা না করেন, নাই করিলেন, আমরা কেন কুরিব না ? বিধাতা অন্যান্য জাতিকে যে ছাঁচে গড়িয়াছেন, আমাদিগকে সে ছাচে গড়েন নাই। আমরা যেমন ছাচে গঠিত আমাদের শিক্ষা দীক্ষা আশা আকাঙ্ক্ষা তেমনই হওয়া উচিত । তাহাতেই আমাদের বিশেষত্ব, তাহাতেই আমাদের জাতীয়তা। বিশেষত্ব গেলে সবই যায়, * বিশেষত্ব থাকিলে সবই আসিতে পারে। আমরা কেন অন্য ছাচ ধরিতে যাইব ? আত্মহত্যার ন্যায় পাপ আর নাই । অতএব তুমি ধৰ্ম্মযাজক ও সমাজশিক্ষক, তোমাকেও বলি, হিন্দুমাত্ৰকেই মানুষ্যের ন্যায় আহার করিতে শিক্ষা দিও, পশু পক্ষী কীট পতঙ্গাদির ন্যায় মুগ্ধ ও লুদ্ধের ন্যায়,আহার করিতে নিষেধ করিও, যাহা না খাইলে নয়-মৎস্য হউক,মাংস