পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ ব্রিহ্মচৰ্য্য ৷ [জীবনে ব্রহ্মৈকপরত] • • “জীবের জীবত্ব এবং ব্রহ্মের ব্ৰহ্মত্বের মধ্যে ব্যবধান যেমন বিরাট, যে সাধনায় সে বিরাট ব্যবধান বিনষ্ট করিতে হয়। সে সাধনাও তেমনি বিরাট। নাহিলে সেই বিরাট ব্যবধান কেমন করিয়া বিনষ্ট হইবে ? সে বিরাট সাধনায় কত জন্ম, কত শতাব্দী, কত যুগ অতিবাহিত স্কুইয়া যায় তাহার ঠিকানা নাই। হয় ত কাহারো অদৃষ্ট সৃষ্টিতে আরম্ভ হইয়া সংহারেও সে সাধনার শেষ হয় না। এই যে জীবন এখন যাপন করিতেছি এ জীবনের প্রারম্ভে তাহার আরম্ভ নয়। এ জীবনের কত পূর্বে সে সাধনা আরম্ভ হইয়াছে তাহার ইয়ত্তা নাই, এ জীবনের কত পরে সে সাধনা শেষ হইবে তাহারও ইয়ত্তা নাই । তুচ্ছ তোমার জন্ম, তাহাতেই বা তোমার কি আরম্ভ হয়, তুচ্ছ তোমার মৃত্যু, তাহাতেই বা তোমার কি শেষ হয়। জন্ম মৃত্যুর কথা ছাড়িয়া দেও-অনন্ত জন্মের কথা ধর, অনন্ত কালের কথা ধর, অনন্ত পথের কথা ভাব। এ পথের পথিক হইতে হইলে আগাগোড়া এই পথের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া, এই পথের ভাবনায় ভোর হইয়া, এই পথের কথা সারা করিয়া পথ চলিতে হইবে। এ রঙ্গ তামাসার কাজ নয়, প্রজাপতি পতঙ্গের মতন একবার এ পথের এ পাশে এঙ্কবার এ পথের ওপাশে ঘূৰ্ত্তি করিতে গেলে চলিবে না। আগাগোড়া এই