পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেসাইহাং । SS ক্ষণস্থায়ী অবস্থা মাত্র এবং প্রকৃত অস্তিত্বও নয়। অতএবঁ ব্রহ্মের আংশিক মায়াময় ক্ষণস্থায়ী রূপ ব্ৰহ্ম হইতে উদ্ভূত বা প্রক্ষিপ্ত হইলেও ব্ৰহ্ম তদ্বারা দূষিত হন না, কেন না ব্ৰহ্ম নিত্যতাময়, অতএব অনিত্য কর্তৃক পরাভূত হইবার নন, এবং ব্ৰহ্ম তাহার আঁধীন নন, সে-ই ব্রহ্মের অধীন। কারণ সে-ই ব্রহ্মের ইচ্ছাসস্কৃত-ইন্দ্ৰজাল যেমন ঐন্দ্রজালিকের ইচ্ছাসস্থত সেও তেমনি ব্রহ্মের ইচ্ছাসস্তুত, এবং ইন্দ্ৰজাল যেমন ঐন্দ্রজালিকের প্রকৃত অস্তিত্ব স্পর্শ করিতে পারে না, সেও তেমনি ব্ৰহ্মাকে । স্পর্শ করিতে পারে না। তবে কেন যে তিনি স্থূলৰূপ ধারণ করেন বা স্থূলত্ব প্ৰকাশ করেন, তাহা তিনিই জানেন। কিন্তু যে কারণেই করুন, তিনি যখন আপনাকে লইয়াই আপনি এইরূপ করিতেছেন, তখন আর কোন কথাই হইতে পারে না। পরকে লইয়া ভাল মন্দ কাজ করিলে কথা হইতে পারে। আপনাকে লইয়া ভাল মন্দ কাজ করিলে কোন কথাই হইতে পারেনা। অতএব ব্ৰহ্মাণ্ডে স্থূলত্ব থাকিলেও ব্ৰহ্মাণ্ড এবং ব্ৰহ্ম এক, এ কথা বলিলে কোন দোষই হয় না। ফলতঃ ব্ৰহ্মাণ্ড যদি ব্ৰহ্মকে লক্ষ্য করিয়া বলে-সোহহং-তবে ব্ৰহ্মাণ্ড সকল কথার সার কথাই বলে। " আমাদের মধ্যে যাহারা আমাদের শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করেন না, ইংরাজি শাস্ত্ৰই বেশী অধ্যয়ন করেন, এই খানে তঁহাদিগের দুই তিনটি কথার মীমাংসা করিবার চেষ্টা করিব। তঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, ব্ৰহ্মাণ্ড যদি ব্ৰহ্মই হয়, তবে ব্ৰহ্মাণ্ডে যত “পদার্থ আছে সবই ব্ৰহ্ম । আর তাহা হইলে তুমিও ব্রহ্ম, আমিও ব্ৰহ্মা গাছটাও ব্রহ্ম, পাথরখানাও ব্রহ্ম,