পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৈহিহং । SVO দ্বিতীয় কথা, জ্ঞানচক্ষু ছাড়িয়া দিয়া স্থূল চক্ষু দ্বারা দেখিলেণ্ড জগতে যত পদার্থ তত ব্ৰহ্ম দেখিতে পাওয়া যায় না । সোহহংইহার অর্থ এই যে, ব্ৰহ্ম যে পদাৰ্থ আমি (অথবা জগৎ) ও সেই পদার্থ-ইহার এমন অর্থ নয় যে আমিই ব্ৰহ্ম । তবে কেমন করিয়া বল যে, ব্ৰহ্ম এবং ব্ৰহ্মাণ্ডকে এক পদাৰ্থ বলিলে তুমি আমি গাছ পাত ঘটি বাট সকলকেই ব্ৰহ্ম বা জগদীশ্বর বলা হয় ? সমস্ত সমুদ্রও যে পদার্থ এক ফোঁটা জলও সেই পদার্থ। কিন্তু তাই বলিয়া এক ফোটা জল কি সমুদ্র ? 'এক • ফোটা জলে কি সমুদ্রের তিমি তিমিঙ্গিল খেলে, সমুদ্রের তরঙ্গ উঠে, সমুদ্রের মহা প্রণয় উদ্ভূত হয় ? একটি অঙ্গুলিও যে পদার্থ সমস্ত দেহটাও সেই পদার্থ। কিন্তু তাই বলিয়া একটা অঙ্গুলি কি দেহ ? মনেব একটা ভাব ও যে পদার্থ মনও সেই পদার্থ। কিন্তু তাই বলিষ্যা মনের একটা ভাবই কি মন ? তবে সৰ্ব্বজ্ঞ, . সৰ্ব্বশক্তিমূন, সৰ্ব্বানন্দ ব্ৰহ্ম ও যে পদার্থ জগৎও সেই পদার্থ বলিয়া, কেমন করিষা বল যে তুমি আমি গাছ পাত ঘাট বাটি সকলই এক একটি সর্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান সৰ্ব্বানন্দ ব্ৰহ্ম ? “সোহহং’-এর প্রকৃত অৰ্থ বুঝিতে চেষ্টা কর না বলিয়াই এইরূপ প্ৰলাপ বকিয়া থাক । যাহাদের কথা বলিতেছি, তাহাদের মধ্যে অনেকে ইহাও বলিষ্যা থাকেন যে ব্ৰক্ষ আতি মহৎ পদার্থ। অতএব যখন দেখিতেছি যে জগতে মানুষ ছাড়া আর কেহ বা আর কিছুই প্রকৃত মহৎ নয়, কেন না প্রকৃত মহৎকাৰ্য্য করে না, তখন, কেমন করিয়া জগৎ এবং জগদীশ্বরের একতু স্বীকার করিয়া জীগতের সকল পদার্থকে মহৎ বলি ? তাহারা" বলিয়া থাকেন R