তেত্ৰিশ কোটি দেবতা। t84 যকে নির্দিষ্ট সীমানা-সহঁদের মধ্যে আবদ্ধ করিয়া ইউরোপবাসীর হৃদয়স্থিত আনন্তের-আকাঙ্ক্ষা চাপিয়া রাখে বলিয়া এবং ইউরোপবাসীর ঈশ্বরপিপাসা মিটায় না বলিয়া ইউরোপবাসী বাহ জগতে,প্ৰত্যেক বাহ পদার্থে-সমুদ্রে সরোবরে, প্রস্তরে,পৰ্ব্বতে, গাছে পাতায়,লতায়, ফুলে, ফলে—ঈশ্বর খুঁজেন, ঈশ্বর দেখেন, ঈশ্বর প্রতিষ্ঠা করেন, ঈশ্বর পূজা করেন। আর হিন্দুর ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ অনন্ত পুরুষকে অসংখ্য মূৰ্ত্তিতে দেখাইয়া হিন্দুর হৃদয়স্থিত অনন্তের-আকাঙ্ক্ষা পূরাইয়া তুলে বলিষ্মা এবং হিন্দুর ঈশ্বর-পিপাসা মিটাইয়া দেয় বলিয়া হিন্দুর বাহা’জগতে-সমুদ্রে, সরোবরে, প্রস্তরে,পৰ্ব্বতে,গাছে,পাতায়,লতায় ফুলে, ফলে-ঈশ্বর খুঁজিবার, ঈশ্বর দেখিবার, ঈশ্বর প্রতিষ্ঠা করিবার, ঈশ্বর পূজা করিবার প্রয়োজন হয় না। ইউরোপীয় কবির জগদ্বর্ণনা এবং হিন্দু কবির জগদ্বর্ণনার মধ্যে যে আশ্চৰ্য্য প্ৰভেদ লক্ষিত হয় তাহার গৃঢ় মৰ্ম্ম এই যে, মানুষ ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে তেত্ৰিশ কোটি দেবতা না। পাইলে, কাব্যে তেত্ৰিশ কোটি দেবতার সৃষ্টি করে। আর সে কথার অর্থ এই যে,যেমন করিয়াই হউক মানুষের তেত্ৰিশ কোটি দেবতা না হইলে চলে না। মানুষ এক অনন্ত পুরুষ ধারণা করিতে পারে না। তাই এক অনন্ত পুরুষকে কোটি কোটি পুরুষে বিভক্ত করিয়া অনন্ত পুরুষের অনন্তত্ব উপলব্ধি করে। একে অনন্ত-এ বড় বিষম ধারণা,এক অনন্তেরই আয়ত্তাধীন। অনেকে অনন্ত অথবা আনন্তে অনন্ত-এ কিছু সহজ ধারণা,মানুষের আয়ত্তাধীন। মানুষ সংখ্যা দ্বারাই পরিমাণ বুঝিয়া থাকে। দুইখানি সমতেজসম্পন্ন বাষ্পীয় যন্ত্রের মধ্যে “ যদি * BBBB DBBD DBBBD DDuD DD DD DSBDB BBDBD
