পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VS8, श्रृिङ्गू । অতএব পদ, মৰ্যদা ইত্যাদি লইয়া লোকমধ্যে সকল দেশেই ইতর বিশেষ হইয়া থাকে। এবং তদ্রুপ ইতর বিশেষ হওয়াও উচিত। মুর্থ অপেক্ষা পণ্ডিতের সম্মান যদি বেশী না হয়, তবে পণ্ডিতের প্রতি অবিচার কঁরা হয়। কিন্তু সাম্য সংস্থাপনার্থ যদি অবিচার কুরিত্যুে হয়, তবে সাম্য আর সাম্য হয় না, বিষম বৈষম্য হইয়া পড়ে। আসল কথা এই যে লোকের ক্ষমতার প্ৰকৃতি ও পরিমাণ ভেদে তাহাদের কৰ্ম্মও বিভিন্ন হইয়া থাকে, এবং কৰ্ম্মের বিভিন্নতা অনুসারে তাহাদের পদও বিভিন্ন এবং সমাজে সম্মান ইত্যাদির কম বেশী হইয়া থাকে। কৰ্ম্ম, পদ এবং সম্মান ইত্যাদির এই প্রকার বিভিন্নতাই প্রকৃত সাম্য। এক পক্ষে লোকের ক্ষমতার প্রকৃতি এবং পরিমাণের বিভিন্নতার প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া সকলকে যদি একই কৰ্ম্মে নিযুক্ত করা হয়, তবে সমাজের ক্ষতি বা অনিষ্ট্রর সীমা থাকে না, এবং অপর পক্ষে ক্ষমতার প্রকৃতি ও পরিমাণানুসারে যদি তাহাদিগকে বিভিন্ন প্ৰকার কৰ্ম্মে নিযুক্ত করিয়াও সকলের জন্য সমান পদ ও মৰ্য্যাদা নির্দিষ্ট করা হয়, তবে অবিচারের সীমা থাকে না। অতএব ক্ষমতার প্রকৃতি ও পরিমাণ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন কৰ্ম্ম এবং পদ ও মৰ্য্যাদা নির্দিষ্ট করাই প্ৰকৃত সাম্যপ্রতিষ্ঠা, এবং তদ্বিপরীত কাৰ্য্যই আবিচার। ক্ষুধায় একটি অষ্টবিংশতি বর্ষীয় যুবককে যে পরিমাণ খাদ্য সামগ্ৰী দিবে, একটী অষ্টমবর্ষীয় শিশুকেও যদি সেই পরিমাণ খাদ্য সামগ্ৰী দেও, তবে কেবল অবিচার এবং অপচয় করা হয় মাত্র, উভয়কে সমান ব্যবহার করা হয় না। অষ্টবিংশতি বর্ষীয় যুবক যে পরিমাণ অন্ন