পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rA مصحح حسياً ৩৫২ : হিন্দুত্ব, 'rara কেমন করিয়া বলা যায় যে এই যে সব সমদৰ্শিতা ও প্রীতির কথা এখন শুনা बारेडुई ইহা প্ৰকৃত কথা, অন্তরের কথা ? ইউরোপের মধ্যকালে (Middle age-এ) লোকের যেরূপ ধৰ্ম্মপ্রিয়তা ও ধৰ্ম্মপরায়ণতা ছিল এখন সেরূপ নাই। কিন্তু এখনকার ইউরোপীয় সাহিত্যে সাম্য ও প্রেমের কথার যে রকম ছড়াছড়ি ও আড়ম্বর আস্ফালন দেখিতে পাওয়া যায় উনবিংশ শতাব্দীর পূর্বের ইউরোপীয় সাহিত্যে সেরকম কিছুই নাই। অতএব নিশ্চয় বোধ হইতেছে যে এখনকার এই সব সাম্য ও প্রেমের কথা নিতান্তই ভূয়া কথা। যে বিরাট সাধনা ব্যতীত সৰ্বভূতকে সমান অনুভব করা, একেবারেই অসম্ভব সে সাধনা যেখানে নাই সেখানে যদি সৰ্ব্বভুতে সমদৃষ্টি ও অনুরাগের কথা শুনাযায় তাহা হইলে নিশ্চয়ই বুঝিতে হয় যে সে কথা অন্তরাত্মার কথা নয়। কোন স্থানের কথা এস্থলে তাহার বিচার নিম্প্রোয়জন । কিন্তু পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে সাধারণ হিন্দুর জীবনে ও সমাজে বিশ্বব্যাপী অনুরাগ বা মৈত্রীর নিদর্শন আছে। কিন্তু যে সাধনায় সৰ্ব্বভুতে সমদৃষ্টি জন্মে সাধারণ হিন্দুর ত সে সাধনা নী।াই। তবে কেমন করিয়া সাধারণ হিন্দুর জীবনে ও সমাজে সৰ্ব্বভুতে অনুরাগের নিদর্শন পাওয়া যায় ? এ কথার উত্তর এই যে সাধারণ হিন্দুর সাধনাও এত অধিক নয় এবং চিত্তের শুদ্ধিও এত বেশী নয় যে আত্মপর ভেদ বিনষ্ট হইয়া তাহার সৰ্ব্বভুতে সমদৃষ্টি ও সমাদৃষ্টি জনিত অনুরাগ হইতে পারে। সৰ্ব্বভুতে সমদৰ্শী ও সৰ্ব্বভুতে প্ৰীতিপরায়ণ শাস্ত্রকারেরা ইহা বুঝিতেন। কিন্তু তঁাহারা ইহাও বুঝিতেন যে সাধারণ বা