পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৬ श्लूिङ्ग | iSeeee S S SiiS SiSiSS SiSSS SieyieiS SSii yyi iei করাইয়া সৰ্বশেষে অবশিষ্ট অন্ন সন্ত্ৰীক ভোজন করিবে। না। করিলে সস্ত্ৰীক মহাপান্সে লিপ্ত হইবে। হিন্দুর নিত্য কৰ্ম্মে স্বাৰ্থত্যাগ, ইন্দ্ৰিয়-নিগ্ৰহ, ভূেগস্হা পরিহার এবং সংযম কত আবশ্যক, তাহা এই একটি মাত্র বিধান দুষ্টেই বুঝিতে পারা যায। র্যাহাকে” এইরূপ বিধানানুসারে জীবন-যাত্ৰা নির্বাহ করিতে হয় তাঙ্কুরবেলা এক প্রহর পর্য্যন্ত সুকোমল শয্যায় পড়িয়া গড়াগড়ি দেওয়া চলে না,শঙ্খ্যাত্যাগ করিয়া দুগ্ধ শর্করামিশ্ৰিত সুগন্ধ চার শিয়ালা এবং অৰ্দ্ধসিদ্ধ পক্ষীডিম্ব উদারস্থ করা চলে না, সকলের অগ্ৰে স্বয়ং বৃহৎ রোহিত মৎস্যের মুণ্ড ভক্ষণ করিয়া ভোগপূহ পরিতৃপ্ত করা চলে না। এবং এই সকল নিত্য কৰ্ম্ম করিতে নিয়তই কত যে নিষ্ঠ একাগ্রতা ও অধ্যবসায় আবশ্যক তাহা বুঝিবার চেষ্টা করিলেই বুঝিতে পারা যায়। আবার এই সকল নিত্য কৰ্ম্ম করিবার জন্য সংযমাদি যেমন আবশ্যক, এই সকল নিত্যকৰ্ম্ম করিতে ধরিতে সংযমাদি করিবার শক্তিও তেমনি বাড়িতে থাকে। কারণ অভ্যাসে সকল শক্তিই বৃদ্ধি হয়। এতদ্ব্যতীত হিন্দুর নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম আছে। বিশেষ বিশেষ ব্ৰত, ব্লিশেষ, বিশেষ যজ্ঞ, বিশেষ বিশেষ পূজা নৈমিত্তিক কৰ্ম্মের অন্তর্গত। নিত্য কৰ্ম্মের ন্যায় নৈমিত্তিক কৰ্ম্মেও সংযমাদি আবশ্যক। অতএব নিত্য ও নৈমিত্তিক উভয় প্রকার কৰ্ম্মের দ্বারাই সংযমাদি করিবার শক্তি বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হয়। এবং সম্যক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইলে জড়প্রকৃতি পরাস্ত হইয়া আত্মার স্বাধীনতা সম্পাদিত হয় অর্থাৎ মানুষ আপনার আত্মাকে চিনিতে পারে তুর্থাৎ চিত্তশুদ্ধি দ্বারা তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিয়া মুক্তিলাভের উপযোগী অবস্থা প্রাপ্ত হয়। এই জন্য বেদান্ত