পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVb হিন্দুত্ব। “গৃহস্থাশ্রম সংক্রান্ত যাবতীয় ক্রিয়া স্ত্রী ব্যতিরেকে সম্পন্ন হয় না, বিশেষতঃ ব্ৰাহ্মণ জাতির। অতএব সর্বপ্রযত্নে নির্দোষা কন্যার পাণি গ্ৰহণ করিবে । গােভিল গৃহসূত্রের প্রথম প্রপাঠকের চতুর্থ কাণ্ডের অষ্টাদশ সুত্ৰ-“ইতি গৃহুমেধি ব্ৰতমু”—ইফুর, ভায্যে কথিত হইয়াছে“ইত্যেবমহরহঃ পঞ্চানাং মহাযজ্ঞানামনুষ্ঠানম্ গৃহমেধিত্রতম, গৃহে যযোর্মেধ্যে যজ্ঞোভবতি, তা বিমেী গৃহমেধিনৌ দম্পতী— ইতি ক্ৰমঃ। তয়োগ্নাহমেধিনোৰ্দম্পত্যে ব্ৰতৎ শাস্ত্ৰবিহিতোনিয়ম ইত্যর্থঃ । Ο স্পষ্টই দেখা যাইতেছে যে আত্মার স্বাধীনতা সম্পাদন দ্বারা মুক্তিলাভার্থ যে আশ্রমকৰ্ম্ম আবশ্যক সস্ত্রীক না হইয়া তাহা সম্পন্ন করা যায় না। অতএব এ কথা অবশ্যই স্বীকার করিতে হইতেছে যে, হিন্দুবিবাহের উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিক; সাংসারিক বা পার্থিব নয়। রবীন্দ্র বাৰু বলেন যে, “হিন্দুদের বানপ্ৰস্থকে আধ্যাত্মিক বলা যাইতে পারে। কারণ তাহা প্ৰকৃত পক্ষে আত্মার মুক্তিসাধন উপলক্ষেই গ্ৰহণ করা হইয়া থাকে।” किङ দেখা গেল যে, হিন্দুশাস্ত্রানুসারে দারপরিগ্রহ করিয়া গৃহস্থাশ্রম অবলম্বন করিবার উদ্দেশ্যও মুক্তিসাধন। অতএব রবীন্দ্ৰ বাবু আধ্যাত্মিক শব্দের যে অর্থ করিয়াছেন সেই অর্থে হিন্দুবিবাহ এবং গৃহস্থাশ্রমও আধ্যাত্মিক। ফল কথা, হিন্দুশাস্ত্ৰানুসারে হিন্দুর জীবন যে চারিটি" আশ্রমে বিভক্ত, অর্থাৎ ব্ৰহ্মচৰ্য্য, গৃহস্থাশ্রম, বানপ্ৰস্থ এবং” সন্ন্যাস, সেই চারিটি আশ্রমই মুক্তির পথের চারিটি অগ্ৰপশ্চাৎ সোপান মাত্র। সেই চারিটি সোপান পরস্পর সংলগ্ন। তন্মধ্যে কোন