পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুত্ব e " موالي 0\ ণের নিয়ম বেশী প্রচলিতৃ কুইয়াঁ দরিান্তর পরিগ্রহের প্রথা বহুল পরিমাণে খৰ্ব্ব হইয়া যাইত। এরূপ বিবেচনা করিবার পক্ষে একটি প্রধান কারণ এই যে,কোন ব্যক্তি অপুত্ৰক মরিলে তাহার পারলৌকিক মঙ্গলার্থ তাহার বিধবা পত্নীর গুর্ভে নিয়োগ ক্ৰমে । অন্তের দ্বারা পুত্ৰ সন্তান উৎপন্ন কুরিবৃার এক সময়ে যে বিধি ছিল তাহা রস্থিত श्वा গিয়াছে, এবং বিবাহের বিশুদ্ধতা রক্ষার্থ পূৰ্বে যে অনুলোম ও প্রতিলোম বিবাহ প্রচলিত ছিল তাহাও নিষিদ্ধ হইয়াছে। মোট কথা, বৃহৎ ও বহু প্ৰাচীন সমাজে অনেক রকম লোকাচাৰু থাকে। সে সকল লোকাচারের মধ্যে সকলগুলিই যে শাস্ত্ৰানুমোদিত তাহা নয়। কিন্তু শাস্ত্রানুমোদিত না হইলেও সে গুলি শীঘ্ৰ লোপ হয় না। এবং হিন্দুশাস্ত্রকারেরাও বিশিষ্ট কারণে লোকাচারের প্রতি কিঞ্চিৎ আস্থাবান বলিয়া তাহা শীঘ রহিত করিতে ইচ্ছক নহেন। অতএব বুঝা যাইতেছে যে বহুবিবাক্রেমে যে পঞ্চী করণ ষড়ীকরণ ঘটিয়া থাকে। তদ্বারা একীকরণ অপ্ৰমাণীকৃত श्श्न क्रा । হিন্দু-বিবাহের উদ্দেশ্য শুধু পার্থিব নয়, পারলৌকিকও বটে। সেই জন্য শাস্ত্রকারেরা বলিয়া থাকেন যে বিবাহ দ্বারা * পতি পত্নীর যে সংযোগ সম্পাদিত হয় তাহ পরলোকেও থাকে, ইহলোকে শেষ হয় না। রবীন্দ্র বাবু বলেন, এইটি শাস্ত্রকারদিগের ভুল। কেন না, তঁহাদেরই কৰ্ম্মফলবীদের অর্থ এই যে, ইহলোকে যে যে রকম কৰ্ম্ম করিবে সেই কৰ্ম্মের ফল স্বরূপ পরলোকে সে তদনুরূপ অবস্থা প্ৰাপ্ত হইবে। অতএব পতি পত্নী আপন আপন কৰ্ম্মের ফলস্বরূপ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা প্রাপ্ত হইয়া