পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুত্বণ توجو ~ ১৭:৫৬, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (ইউটিসি)~ তৃতীয় ক্লথা। এই যে, বাঙ্গালার শুধু যে মানুষ দুৰ্বল তাহা নয়, ছাগ, মেষ, গো মন্বিষাদিও দুর্বল। ইহাতেই বোধ হয় ষে, বাঙ্গালায় এমন একটা কিছু আছে, যাহা বাঙ্গালার শুধু মানুষকে নয় গো মেষ্যদিকেও দুৰ্ব্বলী করে। সে জিনিষটা বাল্যবিবাহ, নূয়, কারণ গে। ক্ষুেদির বালুবিল্লাহ্ নাই। রবীন্দ্র বাবু বাঙ্গালার বাঘের দৃষ্টান্তু দিয়া এই যুক্তিটা কাটিয়া ফেলিতে চান। কিন্তু বাঙ্গার জল হাওয়া বা বন জঙ্গল বাঘের স্বাস্থ্যকর বা উপযোগী হইতে পারে, মানুষের বা গোমেষাদির না হইতে পারে। এ দোঁ সঁ্যাৎসেঁতে জ্বায়গায় মশা মাছি কুটুম কীট খুব বাড়ে, কিন্তু মানুষ ও গো মেষাদির স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয়। রবীন্দ্ৰ বাবু অনুমান করেন যে, বাঙ্গালী গোমেষ্যাদি পালন করিতে জানে না বলিয়া বাঙ্গালায় গোমেষ্যাদি দুৰ্বল ও খর্ব। কিন্তু উত্তরপশ্চিমের লোকও তা পশুপালন বিদ্যায়। অনভিজ্ঞ, অথচ ত্তরপশ্চিমের গোমেষ্যাদি বিলক্ষণ বলবান, আর বাঙ্গালী পশুপালনে অনভিজ্ঞ বলিয়াই যদি বাঙ্গালার গবাদি দুৰ্বল হইয়া থাকে, তবে বাঙ্গালী নিজের শরীর পালনে অনভিজ্ঞ दक्लिश ব্যাঙ্গালার লোক দুর্বলু, এ কৃথা বলাই বা না চলিবে কেন ? চতুৰ্থ কথা এই যে,বাঙ্গালার জল হাওয়ার দোষে বাঙ্গালার লোক যে দুৰ্ব্বল হইয়াছে, এরূপ অনুমান করিবার একটি বিশিষ্ট কারণ আছে। বিশ ত্ৰিশ বৎসর পূর্বে বাঙ্গালায় এখনকার ন্যায় প্রবল ও ব্যাপক ম্যালেরিয়া ছিল না । * তখন এই বাঙ্গালার লোকই এখনকার অপেক্ষা অনেক গুণে বলিষ্ঠ সুস্থাকায় কাৰ্যক্ষম ও শ্রমশীল ছিল। আমি সে সময়ও দেখিয়াছি এবং সে সময়ের বাঙ্গালীও দেখিয়াছি। আর এই কয়েক বৎসরের