পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ملاو হিন্দুর মানসিক প্রকৃতি পাওয়া ফাইতে পারে তাহার কিছুমাত্র অভাব নাই। প্ৰকৃত ইতিহাসের উপকরণ আমাদের পূর্ণ মাত্রায় আছে। বোধ হয় অন্তের অপেক্ষা আমাদের, পরিমাণেও বেশী আছে এবং খাটিও বেশী আছে। কারণ সাহিত্যে এবং আচারানুষ্ঠানে আমাদের যত লামঞ্জস্য আছে অন্য কাহারো তত নাই * । কিন্তু এপৰ্য্যন্ত হিন্দুর ইতিহাসের অনুসন্ধানী সাহিত্যে ও আচারানুষ্ঠানে হয় নাই বলিলেই হয়, • অন্যত্র হইতেছে। বেশীর ভাগ প্রত্নতত্ত্বেই হইতেছে। কিন্তু প্রত্নতত্ত্বে প্ৰাচীনদিগের প্রাণ পাওয়া যায় না, দুই এক খান ভাঙ্গা হাড় মাত্র পাওয়া যায়। আৰু প্রত্নতত্ত্ববিদেরা সেই ভাঙ্গা হাড় গুলার এত শব্দ করিয়া থাকেন যে সেই শব্দের জন্য প্রকৃত ইতিহাসের কথা একেবারেই শুনিতে পাওয়া যায় না। অতএব প্রত্নতত্ত্ব ছাড়িয়া এখন সাহিত্য ও আচারানুষ্ঠানাদিতে ইতিহাস অন্বেষণ করিতে হইবে। আমি সেই চেষ্টা করিয়াছি। চেষ্টা অতিশয় দুরূহ। পূজ্যপাদ শ্ৰীভূদেব মুখোপাধ্যায় এবং শ্ৰীবঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অগ্ৰে এই চেষ্টা করিয়াছেন বলিয়া আমি ইহাতে প্ৰবৃত্ত হইতে সাহস করিতে পারিয়াছি। মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সামাজিক প্ৰবন্ধে এবং চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের ধৰ্ম্মতত্ত্বে হিন্দুত্বের আলোচনা আছে। আমার চেষ্টার পরিমাণ অতি অল্পই হইল । জ্ঞানাভাব ও অবকাশাভাব দুইই তাহার কারণ। প্রভূত চেষ্টা ‘বাকী রহিল। হিন্দুমাত্রেরই তাহাতে প্রবৃত্ত হওয়া কৰ্ত্তব্য। আমার O -- a ‰8 ፵ኋ] !