পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' (& ጳ ~~ الفيتامي -o~~ প্রকৃত অর্থ বিস্মৃত হইলে আমি ঐ দুইয়ের, যে খিচুড়ি প্রস্তুত করিয়াছি তাহা ভাল না লাগিব।ারই কথা । আপত্তি করা হইয়াছে—“সৃষ্টিকৌশলের মধ্যে “বিশ্বনাথের বিপুল বিচিত্ৰ লীলা” দেখিয়া লয় প্রার্থী কি করিয়া যে ব্রহ্মের নিগুণস্বরূপ হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হয় তাহা আমরা বুঝিতে পারিলাম না । ‘লীলা” কি নিগুণত প্ৰকাশ করে ? ‘লীলা’ কি ইচ্ছাময়ের ইচ্ছাশক্তির বিচিত্র বিকাশ নহে? ‘সৃষ্টিকৌশল’ জিনিষটা কি নিগুণ ব্ৰহ্মের সহিত কোন যুক্তিठू८द्ध शूङ হইতে পারে ?” কিন্তু শাস্ত্রকারের ‘বলিয়া থাকেন যে জ্ঞান অসীম সাধনাসাপেক্ষ অর্থাৎ ব্রহ্মের নিগুণ "স্বরূপ মনে করিলেই উপলব্ধি করা যায় না । সে স্বরূপ উপলব্ধি করিবার ক্ষমতা বহু অনুশীলনে লাভ করিতে হয় – সাকার পূজা এবং ভগবানের লীলা সন্দশন সেই অনুশীলনের অন্তর্গত, তদ্বারা সেই স্বরূপের দিকে অগ্রসর হইবার কোন ব্যাঘাত হয় না। যাহা তঁহারই তাহা র্তাহাকে প্রতিরোধ করে না । যাহা তঁহারই তাহ দেখিবার মতন দেখিতে পারিলে, বুঝিবার মতন বুঝিতে পারিলে, তঁাহরই কাছে লইয়া যায়। তুমি বলিবে যে, লয়তত্ত্ববাদীদের কাছে জগৎ যথার্থই অসৎ মায়া,যথার্থই বিশ্বনাথের সৃষ্টিকৌশল বা লীলা নহে। কিন্তু বোধ হয় তাহারা যে জগৎকে অসৎ ও মায়া বলিয়াছেন, সে কেবল ব্রহ্মের তুলনায়। নহিলে বল দেখি কেন তাহারা এই অসৎটাকে, এই মায়াটাকে এত ভয় করিয়া গিয়ছেন, এই অসৎটাকে, এই মায়াট্রাকে ছাড়াইয়া উঠিবার জন্য এত চেষ্টা এত সংযম এত সাধনা এত আরা