४न्द। . قساً গল্পকথা রচনা করেন, তাহারা কি ধাতুর লোক ছিলেন বল দেখি ? তাহারা কি ভয়ানক প্ৰতিজ্ঞাপরায়ণ ও পুরুষকার সম্পন্ন লোক ছিলেন না ? নাহিলে, যে মুক্তিকে তঁাহারা মানুষের পরম পদাৰ্থ বলিয়া বুঝিতেন, সেই মুক্তি লাভ করণার্থ তাহারা এত করিতেন কেন ? স্ত্রী পুত্র প্রভৃতি মধুর মায়াময় সংসার, যাহা হইতে দুই দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন হইলে তুমি আমি কঁাদিয়া আকুল হই, সেই সংসার চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করিয়া, যে ইন্দ্ৰিয়ের ভোগসুখে তুমি আমি এত মুগ্ধ, চিরকালের জন্য সেই ভোগসুখে জলাঞ্জলি দিয়া,’ বিভীষিকাময় অরণ্যে প্ৰবেশ করিয়া, অনশনে বা অনশন-তুল্য স্বল্লাশনে রৌদ্র বৃষ্টি ঝড় ঝনঝাবাত মাথায় পাতিয়া লইয়া, মুক্তির জন্য র্তাহারা কত বৎসর ধরিয়া ভগবানের ধ্যান করিতেন। ইহা কি সামান্য প্ৰতিজ্ঞ ও সামান্য পুরুষকারের পরিচয় ? এ রকম প্ৰতিজ্ঞা ও পুরুষকারের • কথাকে ত গল্প-কথা বলিতে পার না। এখনৰe তো এমন যোগী ও তপস্বী দেখিতে পাওয়া যায়। আর যোগী তপস্বীর কথাই বা কাজ কি ? আজিকার অধঃপতিত হিন্দু সমাজে ইংরাজি শিক্ষা লাভ করেন নাই এমন স্ত্রী পুরুষের মধ্যে কি সেই পুরাতন ধাতু দেখিতে পাওয়া যায় না ? আজিও কি অসংখ্য হিন্দু নরনারীকে ধৰ্ম্মচৰ্য্যাৰ্থ অৰ্দ্ধাশন উপবাস ইন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহ বিলাসবর্জন কঠিন ব্ৰতচরণ ব্যয়-ও-শ্রমসাধ্য তীর্থ দৰ্শন ও ভ্ৰমণ করিতে দেখা যায় না ? ইহাও কি প্রতিজ্ঞ ও পুরুষকারের প্রমাণ নয় ? আমাদের পূর্ব পুরুষদিগের অসাধারণ” প্রতিজ্ঞ ও পুরুষকার ছিল বলিয়াই তােহাক্স জ্ঞানপথে ও ধৰ্ম্মপথে এত অগ্রসর হইতে পারিয়াছিলেন।