পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ সম্পূর্ণভাবে তাহাদের স্বধৰ্ম্মের এই সকল মূল সম্বন্ধে অবগত আছেন। অনেকে, বিশেষতঃ নিম্নবঙ্গে, এই সম্প্রদায় ও প্রণালীসমূহের নাম পৰ্যন্ত শুনেন নাই ; কিন্তু জ্ঞাতসারেই হউক বা অজ্ঞাতসারেই হউক, পূৰ্ব্বোক্ত তিন প্রস্থানের উপদেশানুসারে সকল হিন্দুই চলিয়াছেন। অপর দিকে, যেখানেই হিন্দী ভাষা কথিত হয়, তথাকার অতি নীচজাতি পর্যন্ত নিম্নবঙ্গের অনেক উচ্চতম জাতি হইতে বৈদান্তিক ধৰ্ম্মসম্বন্ধে অধিক অভিজ্ঞ । ইহার কারণ কি ? মিথিলাভূমি হইতে নবদ্বীপে আনীত, শিরোমণি, গদাধর, জগদীশ প্রভৃতি মনীষিগণের প্রতিভায় সযত্নে লালিত ও পরিপুষ্ট, কোন কোন বিষয়ে সমগ্রজগতের অন্যান্ত সমুদয় প্রণালী হইতে শ্রেষ্ঠ, অপূর্ব স্থনিবন্ধ বাকশিল্পে রচিত, তর্কপ্রণালীর বিশ্লেষণস্বরূপ বঙ্গদেশীয় ন্যায়শাস্ত্র হিন্দুস্থানের সর্বত্র শ্রদ্ধার সহিত পঠিত হইয়া । থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বেদের চর্চায় বঙ্গবাসীর যত্ন ছিল না ; এমন কি, কয়েক বর্ষ মাত্র পূর্বে পতঞ্জলির মহাভাৰ্য ( ১ ) পড়াইতে পারেন, এমন কেহ বঙ্গদেশে ( ১ ) পাণিনি-ব্যাকরণের ভাষ্য। বেদশিক্ষা করিতে হইলে । পাণিনির বিশেষ আবশুক হইয়া থাকে। > *