পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত ছিলেন না বলিলেই হয়। একবার মাত্র এক মহতী প্রতিভা সেই অবচ্ছিন্ন অবচ্ছেদক’ ( ১ ) জাল ছেদন করিয়া উত্থিত হইয়াছিলেন—ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য । একবার মাত্র বঙ্গের আধ্যাত্মিক তন্দ্র ভাঙ্গিয়াছিল ; কিছু দিনের জন্য উহা ভারতের অপরাপর প্রদেশের ধৰ্ম্মজীবনের সহভাগী হইয়াছিল। একটু বিস্ময়ের বিষয় এই শ্ৰীচৈতন্য একজন ভারতীর নিকট সন্ন্যাস লইয়াছিলেন, সুতরাং ভারতী (২) ছিলেন বটে, কিন্তু মাধবেন্দ্রপুরীর শিষ্য ঈশ্বরপুরীই প্রথম র্তাহার ধৰ্ম্মপ্রতিভা জাগ্ৰত করিয়া দেন । বোধ হয় যেন পুরীসম্প্রদায় বঙ্গদেশের আধ্যাত্মিকতা জাগাইতে বিধাতা কর্তৃক নির্দিষ্ট। ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ তোতাপুরীর নিকট সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করেন। শ্রীচৈতন্য ব্যাসসূত্রের যে ভাষ্য লিখেন, তাহ হয় নষ্ট হইয়াছে, না হয়, এখন পর্য্যন্ত পাওয়া যায় নাই। র্তাহার শিষ্যেরা দাক্ষিণাত্যের মাধবসম্প্রদায়ের সহিত (১) স্তায়ে ব্যবহৃত শব্দদ্বয়–অবচ্ছিন্ন শব্দের অর্থ বিশিষ্ট, যাহা দ্বারা সীমাবদ্ধ করে, অবচ্ছেদকের অর্থ—যে বিশিষ্ট করে। (২) শঙ্করাচার্য্যের শিস্যগণ দশটি সন্ন্যাসী সম্প্রদায় স্থাপন করেন। ইহাদিগকে দশনামী বলে। যথা, গিরি, পুরী, ভারতী, বন, অরণ্য, পৰ্ব্বত, সাগর, তীর্থ, সরস্বতী, আশ্রম। vరి