পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ যোগ দিলেন। ক্রমশঃ রূপসনাতন ও জীবগোস্বামী প্রভৃতি মহাপুরুষগণের আসন বাবাজীগণ অধিকার করিলেন। তাহাতে শ্রীচৈতন্তের মহান সম্প্রদায় ক্রমশঃ ধ্বংসাভিমুখে যাইতেছিল, কিন্তু আজকাল উহার পুনরভু!থানের চিহ্ন দেখা যাইতেছে। আশা করি, উহা শীঘ্রই আপন লুপ্তগৌরব পুনরুদ্ধার করিবে। সমুদয় ভারতেই শ্রীচৈতন্যের প্রভাব লক্ষিত হয়। যেখানেই লোক ভক্তিমাৰ্গ জানে, সেখানেই তাহার বিষয় লোকে আদরপূর্বক চর্চা করিয়া থাকে ও র্তাহার পূজা করিয়া থাকে। আমার বিশ্বাস করিবার অনেক কারণ আছে যে, সমুদয় বল্লভাচাৰ্যসম্প্রদায় (১) ঐচৈতন্য সম্প্রদায়ের শাখাবিশেষ মাত্র। কিন্তু তাহার তথাকথিত বঙ্গীয় শিষ্যগণ জানেন না, তাহার প্রভাব এখনও কিরূপে সমগ্র ভারতে কাৰ্য্য করিতেছে। কিরূপেই বা জানিবেন ? শিষ্যগণ গদিয়ান হইয়াছেন, কিন্তু তিনি নগ্নপদে ভারতের দ্বারে দ্বারে বেড়াইয়া আচণ্ডালকে ভগবানের প্রতি প্রেমসম্পন্ন হইতে ভিক্ষা করিতেন। যে অদ্ভূত ও অশাস্ত্রীয় কুলগুরুপ্রথা, বঙ্গদেশ এবং অধিক পরিমাণে বঙ্গদেশেই প্রচলিত, তাহাও উহার, (১) বৈষ্ণবসম্প্রদায়বিশেষ। বল্লভাচার্য্য বিষ্ণুস্বামীর শিষ্য। এই সম্প্রদায় বোম্বাই অঞ্চলে খুব প্রবল। >8