পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ যে, ‘ব্রহ্মবিদ ব্রহ্মৈব ভবতি—আর কথা খুব যুক্তিসঙ্গতও বটে। এই মতের ফলস্বরূপ প্রত্যাদেশের অতি উদার ও মহান মত আসিতেছে ; ইহা শুধু বৈদিক ঋষিগণ বলিয়াছেন, তাহা নহে ; শুধু বিদুর, ধৰ্ম্মব্যাধ (১) ও অপরাপর প্রাচীন মহাপুরুষেরা ইহা বলিয়াছেন, তাহ নহে, কিন্তু সে দিন সেই দাদুপন্থীসম্প্রদায়ভুক্ত ত্যাগী নিশ্চলদাসও নির্ভীকভাবে তাহার ‘বিচারসাগর’ গ্রন্থে ঘোষণা করিয়াছেন, “যে ব্রহ্মবিদ ওই ব্ৰহ্ম তাকু বাণী বেদ। সংস্কৃত ওঁর ভাষামে করত ভ্রমকি ছেদ ॥” যিনি ব্রহ্মবিৎ, তিনিই ব্রহ্ম , তাহার বাক্যই বেদ । সংস্কৃত অথবা দেশপ্রচলিত যে কোন ভাষায় তিনি বলুন না কেন, তাহাতেই লোকের অজ্ঞান দূর হয়। অতএব দ্বৈতবাদানুসারে ব্রহ্মকে উপলব্ধি করা এবং অদ্বৈতবাদমতে ব্ৰহ্মভাবাপন্ন হওয়াই বেদের সমুদয় উপদেশের লক্ষ্য, আর অন্য ষে কিছু শিক্ষা বেদে আছে তাহা সেই লক্ষ্যে পৌছিবার সোপানমাত্র। আর ভগবান ভাষ্যকার শঙ্করাচার্য্যের এই মহিমা যে, তিনি নিজ ( ১ ) মহাভারত, বনপৰ্ব্ব দেখ। 8