পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকতা ফল হইয়াছে একটি মহৎ সমাজসংহতি, কিন্তু তাহাতে যে ধৰ্ম্ম প্রচলিত, তাহা স্থূলতম জড়বাদের উপর কখনও উঠে নাই । আজ পাশ্চাত্য দেশ আপনার অভাব বুঝিতেছে। এখন উন্নত পাশ্চাত্য ঈশ্বরতত্বান্বেষিগণের মূলমন্ত্র হইয়াছে—‘মানুষের যথার্থ স্বরূপ ও আত্মা | সংস্কৃতদর্শন অধ্যয়নকারী মাত্রেই জানেন, এ হাওয়া কোথা হইতে বহিতেছে, কিন্তু তাহাতে কিছুই আসিয়া যায় ন। যতক্ষণ ইহা নুতন জীবন সঞ্চার করিতেছে। ভারতে আবার নূতন নুতন অবস্থার সংঘর্ষে সমাজসংহতির নবগঠন বিশেষ আবশ্যক হইতেছে । বিগত শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ ধরিয়া ভারত সমাজসংস্কারসভা ও সমাজসংস্কারকে পূর্ণ হইয়াছে। কিন্তু হায় । ইহার মধ্যে সকলগুলিই বিফল হইয়াছে । ইহঁারা সমাজসংস্কারের রহস্য জানিতেন না । ইহঁার প্রকৃত শিখিবার জিনিষ শিখেন নাই। ব্যস্ততাবশতঃ তাহারা আমাদের সমাজের যত দোষ, সব ধৰ্ম্মের ঘাড়ে চাপাইয়াছেন। প্রবাদবাক্যে যেমন আছে, মশা মাত্তে গালে চড়', তেমনি তাহারা সমাজের দোষ সংশোধন করিতে গিয়া সমাজকেই একেবারে ধ্বংস করিবার যোগাড় করিয়াছিলেন । কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে এ ক্ষেত্রে তাহারা لاتي (يا