পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ কেবল উঠিতে পারে, যদি ক্ষত্রিয়গণের বংশধরগণ ব্রাহ্মণের বংশধরগণের সহিত সমবেত চেষ্টায় বদ্ধপরিকর হন, লুষ্ঠিত ঐশ্বৰ্য্য ও ক্ষমতা ভাগ করিয়া লইবার জন্য নহে, অজ্ঞানগণকে জ্ঞানদানের জন্য ও পূর্বপুরুষগণের পবিত্র বাসভূমির বিনষ্ট গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য। আর কে বলিতে পারে, ইহা শুভ মুহূৰ্ত্ত নহে ? আবার কালচক্র ঘুরিয়া আসিতেছে, পুনর্বার ভারত হইতে সেই শক্তিপ্রবাহ বাহির হইয়াছে, যাহা অনতিদীর্ঘকালমধ্যে নিশ্চয়ই জগতের চরম প্রান্তে পৌঁছিবে । এক বাণী উচ্চারিত হইয়াছে, যাহার প্রতিধ্বনি প্রবাহিত হইয়া চলিয়াছে, প্রতিদিন অধিক হইতে অধিকতর শক্তিসংগ্ৰহ করিতেছেন, আর এই বাণী ইহার পূর্ববর্তী সকল বাণী হইতেই অধিক শক্তিশালী, কারণ, উহা উহার পূর্ববর্তী বাণীগুলির সমষ্টিস্বরূপ। যে বাণী একদিন সরস্বতীতীরে ঋষিগণের নিকট প্রকাশিত হইয়াছিল, যাহার প্রতিধ্বনি নগরাজ হিমালয়ের চুড়ায় চুড়ায়। প্রতিধ্বনিত হইতে হইতে কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও চৈতন্যের ভিতর দিয়া সমতল প্রদেশে নামিয়া দেশ প্লাবিত করিয়া ফেলিয়াছিল, তাহ আবার উচ্চারিত হইয়াছে। আবার দ্বার উদঘাটিত হইয়াছে। সকলে আলোর রাজে । প্রবেশ কর—দ্বার আবার উদঘাটিত হইয়াছে। ৬২