পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরাধিকার >)○ ৪ । বিধবা স্ত্রী । পুত্র, পৌত্র এবং প্রপৌত্র না থাকিলে বিধবা স্ত্রী স্বামীত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিণী হন। একাধিক পত্নী থাকিলে সকলে এজমালী স্বত্বে তুল্যাংশে পাইয়া থাকেন। পরে একজনের মৃত্যু হইলে অবশিষ্ট সপত্নীগণ এজমালীতে ভোগ করেন । এইরূপে শেষ একজন জীবিত থাকিলে তিনিই সমস্ত সম্পত্তি প্রাপ্ত হন । একাধিক পত্নী থাকিলে তাহারা সুবিধার জন্য নিজেদের মধ্যে সম্পত্তি বিভাগ করিয়া লইয়া পৃথকভাবে ভোগ করিতে পারেন । কিন্তু এই বিভাগ তাহাদের জীবিতকাল পর্য্যন্তই চলিবে, তাহদের মৃত্যুর পর পৃথক অংশগুলি সমস্তই এক হইয়া যাইবে । বিধবা স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি জীবনস্বত্বে পাইয়া থাকেন ; অর্থাৎ তিনি যতদিন জীবিত থাকিবেন ততদিন ঐ সম্পত্তি ভোগ করিবেন ; তাহার মৃত্যুর পর তাহার স্বামীর পরবর্তী উত্তরাধিকারী ঐ সম্পত্তি পাইবেন । বিধবা পত্নী সাধারণতঃ স্বামীর সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারেন না । তবে অবস্থাবিশেষে হস্তান্তর করিলেও সিদ্ধ হয় ; তাহ পরবর্তী অধ্যায়ে লিখিত হইবে । স্বামী জীবিত থাকিতে যদি স্ত্রী অসতী হন তাহা হইলে তিনি স্বামীর সুম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিণী হইতে পারিবেন না--স্বামীর যিনি পরবর্তী উত্তরাধিকারী থাকেন তিনিই সম্পত্তি পাইবেন । কিন্তু স্ট্রী যদি স্বামীর জীবিতকালে সতী থাকিয়া স্বামীর মৃত্যুর পর তাহার সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া পরে ( অর্থাৎ বিধবা হইয়া ) অসতী হন, তাহা হইলে সেই সম্পত্তি হইতে তিনি বঞ্চিত হইবেন না (মণিরাম কলিতা বঃ কেরী কলিতানী, ৫ কলিকাতা ৭৭৬ প্রিভিকেন্সিল ) । স্ত্রী প্রকৃতপক্ষে অসতী হইলেই তবে উত্তরাধিকার হইতে বঞ্চিত