পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ8 हिन्दू चाहेम হন ; কিন্তু তিনি যদি স্বামীর কথার অবাধ্য হইয়া থাকেন, বা স্বামীকে অবহেলা করিয়া থাকেন, বা স্বামী দ্বিতীয়বার বিবাহ করার জন্য র্তাহার নিকট হইতে পৃথকভাবে বাস করিয়া থাকেন, তজ্জন্য তিনি স্বামীর মৃত্যুর পর তাহার সম্পত্তির উত্তরাধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন না (ক্ষেত্রমণি বা কাদম্বিনী, ১৬ কলিকাতা উইকলি নোটস ৯৬৪ ) । বিধবা পত্নী পুনরায় বিবাহ করিলে আর তিনি স্বামীত্যক্ত সম্পত্তি ভোগ করিতে পারিবেন না ; ঐ সম্পত্তি হইতে তৎক্ষণাৎ তিনি বঞ্চিত হইবেন, এবং তাহার স্বামীর পরবর্তী উত্তরাধিকারী উহা পাইবেন। অর্থাৎ বিধবা পুনরায় বিবাহ করিলে তিনি যেনর্তাহার প্রথম স্বামীর পরিবারে মৃত হইয়াছেন এইরূপ গণ্য হইবে ( বিধবার পুনৰ্ব্বিবাহ আইন, ২ ধারা ) । কিন্তু বিধবা পত্নী ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করিলে তিনি স্বামীর সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইবেন না ; কারণ ১৮৫০ সালের ২১ আইন ( ধৰ্ম্মসম্বন্ধে স্বাধীনতা আইন ) অনুসারে কোনও ব্যক্তি ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ হেতু কোনও সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হন না। কিন্তু হিন্দু বিধবা যদি ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করেন এবং পুনরায় বিবাহ করেন, তাহা হইলে বিধবার পুনৰ্ব্বিবাহ আইনের ২ ধারা অনুসারে তিনি পূৰ্ব্ব স্বামীত্যক্ত সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইবেন ( মাতঙ্গিনী ব: রামরতন, ১৯ কলিকাতা ২৮৯ ফুলবেঞ্চ )। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট এইরূপ একটা মোকদ্দমায় বড়ই রহস্ত করিয়াছেন । এই মোকদ্দমায়, এক হিন্দু বিধক স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিণী হওয়ার পর মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং এক মুসলমানকে বিবাহ করিয়াছিলেন । এরূপ অবস্থায় তিনি প্রথম স্বামীর সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইবেন কিনা এবিষয়ে প্রশ্ন উঠিল । এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্থির করিলেন যে তিনি বঞ্চিত হইবেন না ! তাহার কারণ, প্রথমতঃ মুসলমান ধৰ্ম্মগ্রহণ হেতু তিনি বঞ্চিত হইতে পারেন না, কারণ এবিষয়ে ১৮৫০ সালের ২১ অাইন তাহার স্বপক্ষে