পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S9 श्म् िबtेन । (খ) ও (গ) শ্রেণীর কন্যাগণ একত্রে পাইবেন ; যদি তাহারা না থাকেন তাহা হইলে দৌহিত্রে সম্পত্তি অশিবে। একাধিক কুমারী কন্যা থাকিলে তাহার। সকলে মিলিয়া এজমালীতে ভোগ করিবেন, এবং একের মৃত্যুতে অবশিষ্ট সকলে মিলিয়া ভোগ করিতে থাকিবেন। এইরূপ শেষ কন্যার মৃত্যুর পর (খ) ও (গ) শ্রেণীর কন্যাগণ একত্রে পাইবেন ; তাহারা না থাকিলে সম্পত্তিটা দৌহিত্রগণের হস্তে যাইবে । (খ) ও (গ)। অবিবাহিত কন্যা না থাকিলে বা অবিবাহিত কন্যা জীবনস্বত্বে সম্পত্তি ভোগ করিয়া পরলোকগমন করিলে উপরোক্ত (খ) ও (গ) শ্রেণীর কন্যাগণ পাইবেন। এই দুই শ্রেণীর কন্যাগণ একত্রে ভোগ করিতে পারিবেন ; অর্থাৎ যদি দুইটী সধবা কন্যা এবং একটী পুত্রবর্তী বিধবা কন্যা থাকেন, তাহা হইলে তিনজনেই একত্রে সম্পত্তি পাইবেন । পুত্রহীন সধবা কন্যা সম্বন্ধে কয়েকট কথা জানিয়া বাখা আবশ্বক ; সধবা কন্যার যদি পুত্র না থাকে শুধু কন্যা জন্মিয়া থাকে, তাহা হইলেও সে উত্তরাধিকারিণী হইয়া থাকে। কারণ যদিও তাহার এখনও পুত্র জন্মায় নাই, তাহা হইলেও ভবিষ্যতে হয়তো জন্মাষ্টতে পারে। কিন্তু যদি সে বন্ধ্যা হয় তাহা হইলে প্রশ্ন একটু কঠিন হইয়া পড়ে ; কারণ অনেক স্ত্রীলোক বন্ধ্যা বলিয়া প্রতিপন্ন হওয়ার পরও অধিক বয়সে সন্তান প্রসব করিয়া থাকেন। সুতরাং বন্ধ্যা কস্তাও উত্তরাধিকাবিণী হইতে পারেন ; কিন্তু যদি তাহার সন্তান প্রসব করিবার বয়স উত্তীর্ণ হইয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে সে উত্তরাধিকারিণী হইতে পারে না। কিছুকাল পূর্বে কলিকাতা হাইকোর্টে এক মোকদ্দমায় এইরূপ প্রশ্ন উঠিয়াছিল ; এক সধবা কন্যার বয়স ৬৩ বৎসর ; সে ৪৩ বৎসর ধরিয়া তাহার স্বামীর নিকট রহিয়াছে, কিন্তু কোনও সস্তান জন্মে নাই ; হাইকোর্ট স্থির করিলেন যে এরূপ অবস্থায় সে বন্ধ্যা বলিয়াই গণ্য হইবে, এবং পিতৃসম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিণী হইতে পারিবে না । ( ইচ্ছাময়ী বঃ