পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A obr হিন্দু আইন টাকা যদি তিনি ব্যয় না করিয়া রাখিয়া দেন, তাহা হইলে উহা সম্পত্তির সামিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার মৃত্যুর পর ভাবী উত্তরাধিকারী তাহা পাইবে ; তাহা তাহার স্ত্রীধন বলিয়া গণ্য হইবে না (ঈশ্বরী দত্ত বঃ হংসবতী, ১০ কলিকাতা ৩২৪ ) । যদি তিনি সঞ্চয়ের টাকা হইতে কোনও সম্পত্তি খরিদ করেন, তবে তাহ আসল সম্পত্তির সামিল বলিয়া গণ্য হইবে, তাহা তাহার নিজের স্ত্রীধনরূপে গণ্য হইবে না, এবং তাহা তিনি বিনা কারণে ইচ্ছামত হস্তান্তর করিতে পারিবেন না, এবং তাহার মৃত্যুর পর ঐ সম্পত্তি শেষ পুরুষ মালিকের উত্তরাধিকারী পাইবেন ( ১৪ কলিকাতা ৩৮৭ ) । কিন্তু এই সম্পত্তি ? খরিদ করিবার সময়ে তিনি যদি উহা আসল সম্পত্তি হইতে পৃথক করিয়া নিজ সম্পত্তি স্বরূপ রাখিয়া থাকেন, তবে তাহ। তাহার নিজ স্ত্রীধন সম্পত্তি স্বরূপ গণ্য হইবে ও তাহ। তিনি ইচ্ছামত হস্তান্তর করিতে পারিবেন। স্থাবঃ সম্পত্তি সম্বন্ধে স্ত্রীলোকের যেরূপ ক্ষমতা, অস্থাবর সম্পত্তি সম্বন্ধেও সেইরূপ । উভয় প্রকার সম্পত্তিতে তিনি এব ইরূপ স্বত্ব পাইয়া থাকেন। হস্তাস্তরের ক্ষমতা । স্ত্রীলোক সাধারণতঃ সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারেন না । কিন্তু ( ক ) আইনসঙ্গত আবশ্যকতা থাকিলে, কিংবা ( খ ) ভাবী উত্তরাধিকারাঁর সম্মতি থাকিলে, হস্তান্তর করিতে পারেন । আইন সঙ্গত আবশ্যকতা। আইনসঙ্গত আবশ্বকতা থাকিলে স্ত্রীলোক ভাবী উত্তরাধিকারীর সম্মতি না লইয়াও সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে পারেন । নিম্নলিখিত হেতুগুলিকে আইনের ভাষায় "আইনসঙ্গত আবশ্বকতা” বলে — (১) যে কার্ষ্যে মৃত মালিকের আত্মার সদগতি হইবে এরূপ ধৰ্ম্মকাৰ্য্য বা দাতব্য কাৰ্য্যের জন্ত স্ত্রীলোক উত্তরাধিকারিণী সম্পত্তি