পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ & झ् िवांन যখন পুরুষের তুল্য ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে, তখন তাহার সম্মতিষ্ট যথেষ্টরূপে কাৰ্য্যকর হইবে ; এবং ঐ হস্তান্তর অসিদ্ধ হইবে না। একাধিক ভাবী পুরুষ উত্তরাধিকারী থাকিলে সকলেরই সম্মতি লওয়া চাই, কতকগুলির সম্মতি লইলে চলিবে না ( রাধাপ্তাম ব: জয়রাম, ১৭ কলিকাতা ৮৯৬ ) । যথা, যদি উপরোক্ত উদাহরণে তিন জন দৌহিত্র থাকে, তাহা হইলে সেই তিন জনেরই সম্মতি লইতে হইবে, একজনের বা দুই জনের সম্মতি লইলে সিদ্ধ হইবে না । ভাবী উত্তরাধিকারী বলিতে ঠিক পরবত্তী পুরুষ উত্তরাধিকারীকে বুঝাইবে । কোনও দূরবত্তী ভাবী উত্তরাধিকারীর সম্মতি লইলে সিদ্ধ হইবে না ( গুরুনারায়ণ ব; শিউলাল, ৪৬ কলিকাতা ৫৬৬, প্রিভিকৌন্সিল ) । যথা, যদি কোনও বিধবা স্ত্রীলোক কর্তৃক সম্পত্তি হস্তান্তর করিবার সময়ে তাহার মৃত স্বামার দৌহিত্র এবং ভ্রাতা এই দুইজন থাকেন, তাহা হইলে দৌহিত্রকে ভাবী উত্তরাধিকারী বুঝাইবে, ভ্রাতাকে বুঝাইবে না ; এবং ঐ বিধবা স্ত্রী দৌহিত্রের সম্মতি লইয়া হস্তাস্তর করিবেন, উক্ত ভ্রাতার সম্মতি লইলে সিদ্ধ হইবে না । অনেক স্থলে এরূপ হয় যে যাহার সম্মতি লইয়া হস্তান্তর করা হইয়াছে তিনি স্ত্রীলোকের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হন না, অপর ব্যক্তি উত্তরাধিকারী হন ; কিন্তু তাহ হইলেও হস্তাস্তর সিদ্ধ হইবে। যথা, উপরোক্ত উদাহরণে বিধবা পত্নী তাহার দৌহিত্রের সম্মতি লইয়া হস্তাত্তর করিলেন কিন্তু তাহার পর বিধবার জীবিতকালে ঐ দৌহিত্র মারা গেল ; এবং ঐ বিধবার মৃত্যুর পর তাহার স্বামীর ভ্রাতা উত্তরাধিকারী হইলেন । এস্থলে যদিও স্বামীর ভ্রাতার সম্মতি লণ্ডয়া হয় নাই, তথাপি তিনি ঐ হস্তান্তরে কোনও আপত্তি করিতে পারিবেন না, কারণ বিধবা যে সময়ে হস্তান্তর করিয়াছিলেন সে সময়ে তিনি তৎসময়কার ভাবী উত্তরাধিকারীর সন্মতি লইয়াছিলেন ।