পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভরণপোষণ סס צ দ্বারা তাহার ভ্রাতু-পুত্রকে দিয়া যান, তাহ হইলে সেই ভ্রাতুষ্পপুত্র ঐ সম্পত্তি হইতে আনন্দের বৃদ্ধ পিতামাতাকে, নাবালক পুত্রকে, অবিবাহিত কন্যাকে, বিধবা পত্নীকে, এবং বিধবা পুত্রবধূকে ভরণপোষণ করিতে বাধ্য হইবেন । ১) মৃত মালিকের বিধবা পত্নী । পুত্র যদি পৈতৃক সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হন, তাহা হইলে তিনি মৃত মালিকের বিধবা পত্নীগণকে ( অর্থাৎ তাহার নিজের মাত ও বিমাতাকে । ভরণপোষণ করিতে বাধা হইবেন । মাতাকে ভরণপোষণ করিতে পুত্র সকল সময়েই (অর্থাৎ পৈতৃক সম্পত্তি না থাকিলেও ) বাধ্য ; কিন্তু পৈতৃক সম্পত্তি থাকিলেই পুত্র তাহার বিধবা বিমাতাকে ভরণপোষণ করিতে বাধ্য, নচেৎ নহে । যদি মৃত মালিকের দুই পত্নী থাকে, এবং দুই পত্নীব গর্ভেই পুত্র জন্মিয় থাকে, তাহা হইলে, যতদিন পুত্রগণ এজমালীতে থাকে, ততদিন সমস্ত সম্পত্তি হইতে দুই পত্নীর ভরণপোষণ নিৰ্ব্বাঙ্গ হইবে । কিন্তু যদি পুত্ৰগণের মধ্যে বিভাগ হয় তাহা হইলে প্রত্যেক পত্নী তাহার নিজ গর্ভজাত পুত্রের নিকট হইতে ভরণপোষণ পাইবেন, সপত্নীপুত্রের নিকট হইতে পাইবেন না। পৌত্র যদি পিতামহের সম্পত্তি পাইয়া থাকেন তাহ হইলে তিনি বিধব। পিতামহীকে ভরণপোষণ করিতে বাধ্য। প্রপিতামীর সম্বন্ধেও ঐরূপ । স্বামীর মৃত্যুর পরও স্বামীর বাটতেই বাস কর। বিধবার পক্ষে অনেক সময়েই কৰ্ত্তব্য । অন্যায় বা অসৎ অভিপ্রায়ে তিনি স্বামার বাটী পরিত্যাগ করিতে পারেন না । কিন্তু তিনি যদি অসতী না হন তাহা হইলে অন্যত্র থাকিলেও ভরণপোষণ পাইবেন, বিধবা ইচ্ছা করিলেই যে অন্যত্র থাকিয়া ভরণপোষণ পাইবেন এমন নহে ; পারিবারিক অবস্থা, সংসারের আয় ব্যয় ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া, বিধবা অন্যত্র থাকিলে তাহাকে ভরণপোষণ দেওয়া যাইতে পারে কি না তাহা স্থির হইবে। যে স্থলে স্বামী