পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉○や হিন্দু আইন পিতৃগৃহে গিয়। বাস করে তাঙ্গ হইলেও সে পৃথক ভরণপোষণ পাইবে ; কিন্তু সে যদি তাহার স্বামীত্যক্ত টাকা, কোম্পানীর কাগজ প্রভৃতি সমস্ত দ্রব্য লইয়া গিয়া শ্বশুরের সংসার পরিত্যাগ করিয়া পিতৃগৃহে গিয়া বাস করে, তাহ হইলে আর সে শ্বশুরের নিকট হইতে ( বা শ্বশুরের মৃত্যুর পর তাহার ওয়ারিসগণের নিকট হইতে ) পৃথক ভরণপোষণ দাবী করিতে পারিবে না ( সিদ্ধেশ্বরী ব: জনাৰ্দ্দন, ২৯ কলিকাতা ৫৫৭ ) । ভরণপোষণের পরিমাণ । ভরণপোষণের জন্য মাসহার স্থির করিতে হইলে পারিবারিক সম্পত্তির আয়ব্যয়ের প্রতি দৃষ্টি রাখিতে হইবে । এতদ্ভিন্ন, যে ব্যক্তিকে মাসহার দিতে হইবে তাহার অবস্থা, এবং সম্পত্তি হইতে আরও কতজন ব্যক্তিকে ভরণপোষণ করিতে হইবে, এই সকল বিষয়ও পৰ্য্যালোচনা করিয়া মাসহারা স্থির করিতে হইবে ( ১২ এলাহাবাদ ৫৫৮ ; করুণাময়ী বঃ এডমিনিষ্ট্রেটর জেনারেল, ৯ কলিকাতা উইকলি নোটস, ৬৫১ ) । কিন্তু সকল ব্যক্তিই যদি পৃথক মাসহারার টাকা চাহেন, তাহা হইলে সকল সময়ে তাহা দেওয়া সম্ভবপর নহে । সকলে মিলিয়া যদি পরিবারের মধ্যে থাকিয়া প্রতিপালিত হন, তাহা হইলে তাহাতে অনেক অল্প টাকায় ভরণপোষণের ব্যয় নির্বাহ হয় ; কিন্তু সকলে পৃথক থাকিয় টাকা লইতে চাহিল, অনেক বেশী খরচ পড়িয়া যায় । সুতরাং সম্পত্তির আয় কম হইলে সকলকে পৃথক মাসহারার টাকা দেওয়া সম্ভবপর নয় । সকলেই পরিবারের মধ্যে একত্রে থাকিয়ী প্রতিপালিত হইলেই স্ববিধাজনক । t & পরিবারের মৃত মেম্বরের বিধবা পত্নীর ভরণপোষণের জন্য মাসহার স্থির করিতে হইলে অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করা উচিত। যদিও হিন্দুশাস্ত্রে বিধবাকে গ্রাসাচ্ছাদন সম্বন্ধে খুব সংযত হইয়া থাকিতে