পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মার্থে সম্পত্তি দান Y83, সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষমতা । ঐ সম্পত্তি সম্বন্ধে সেবাইতের বা ট্ৰাষ্টীর ক্ষমতা ঠিক নাবালকের সম্পত্তি সম্বন্ধে ম্যানেজারের ক্ষমতার ন্যায় । তিনি কেবলমাত্র আইনসঙ্গত আবশ্যকতার জন্য ঐ সম্পত্তি হস্তাস্তর করিতে পারিবেন ; যথা, মন্দিরের দেবসেবা বজায় রাখিবার জন্য, মন্দিরে মাঝে মাঝে যে সকল উৎসব হয় সেই সকল উৎসবের ব্যয় নিৰ্ব্বাহের জন্য, মন্দির ভগ্ন হইলে তাহার মেরামতের জন্য, ঐ সম্পত্তি রক্ষার জন্য, গবর্ণমেণ্টের রাজস্ব দিবার জন্য, ঐ সম্পত্তি রক্ষার্থে মোকদম চালাইবার জন্য, সেবাইত ঐ সম্পত্তি বন্ধক দিতে বা একাংশ হস্তান্তর করিতে ক্ষমতাপন্ন হইবেন । নাবালকের সম্পত্তি খরিদ করিবার সময়ে খরিদদারের যেরূপ তদন্তু করা আবশ্বক (তৃতীয় অধ্যায় দ্রষ্টব্য), সেবাহত বা ট্রাষ্টার নিকট হইতে সম্পত্তি খরিদ করিবার সময়েও তাহার সেইরূপ তদন্ত করা কৰ্ত্তব্য ( হনুমান প্রসাদ ব: বাবুহ, ৬ মূৰ্বস্ ইণ্ডিয়ান আপীলস্ ৩৯৩ } । সেবাইত যদি কোনও সম্পত্তি আত্মসাং করেন, কিংবা নষ্ট কবেন, কিংবা ঐ সম্পত্তি সম্বন্ধে তন্ত্য কোন প্রকার বিশ্বাসঘাতকতার কার্য{ করেন, তাহা হইলে তাঁহাকে দূরীভূত করিবার জন্য দুহজন সাধাবণ ব্যক্তি মিলিয়া এডভোকেট জেনারেলব ( কলিকাতায ) বা কালেক্টরের ( মফঃস্বলে ) সম্মতি লইয়া নালিস করিতে পারেন ( দেওধানী প দ্যবিলি আইন, ৯২ ধারা ) । 静 অন্যান্য কথা । ধৰ্ম্মার্থে সম্পত্তি দান করিল্পে ভজন্ত কোনও দলিলের প্রয়োজন হয় না , কিন্তু দলিল থাকিলে উত্তম প্রমাণ হয়, কারণ তাই। হইলে দানকৰ্ত্তার মহাজনগণ র্তাহার দেনার জন্য ঐ সম্পত্তি ক্রোক নিলাম করিতে