পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এজমালী সম্পত্তি S89 অধিকারী হইবে না ; আনন্দ এক তৃতীয়াংশ, চন্দ্র এক তৃতীয়াংশ, দীনেশ এক-ষষ্ঠাংশ, এবং ফণী এক ষষ্ঠাংশ পাইবে । উপরিলিখিত উদাহরণগুলি হইতে বুঝা যাইবে যে দায়ভাগ অনুসারে যেমন সম্পত্তির মালিকের মৃত্যুতে র্তাহার পুত্ৰগণ “উত্তরাধিকারী” হইয়া থাকে, মিতাক্ষর আইনমতে পৈতৃকসম্পত্তি সম্বন্ধে সেরূপ উত্তরাধিকারেব (inheritance) নিয়ম নাই ; একজনের মৃত্যুতে তাহার সম্পত্তি কোন উত্তরাধিকারে অশায় না, তাহার অংশটা অপর জীবিত ব্যক্তিগণের অংশের মধ্যে চলিয়া যুায়। যথা, আনন্দ এবং তাহার পুত্র বলরাম ও চন্দ্ৰ থাকিলে, সম্পত্তিতে তিনজনের প্রত্যেকের এক তৃতীয়াংশ থাকে ; তাহার পর আনন্দের মৃত্যু হইলে, বলরাম ও চন্দ্র প্রত্যেকে সম্পত্তির অৰ্দ্ধাংশ পাইবে ; কিন্তু এস্থলে এইরূপ বলা যাইবে না যে আনন্দের মৃত্যুতে বলরাম এবং চন্দ্র তাহার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হইলেন ; এস্থলে বলা হইবে যে আনন্দের মৃত্যুতে তাহার অংশটা তাহার দুই পুত্রের মধ্যে চলিয়া গেল । মিতাক্ষরা মতে পৈতৃক ও স্বোপাজ্জিত এই দুই প্রকার সম্পত্তি হয় ; এবং এই দুই প্রকার সম্পত্তিতে বিশেষ প্রভেদ আছে। উপরে যে নিয়ম গুলি উদাহরণ দ্বারা বুঝান গেল, তাহ পৈতৃক সম্পত্তি সম্বন্ধে, স্বোপাজিত সম্পত্তি সম্বন্ধে নহে। অর্থাৎ উপরোক্ত উদাহরণ গুলিতে যে সম্পত্তির কথা লেখা হইয়াছে, তাহা যদি আনন্দের পৈতৃক সম্পত্তি হয় তাহা হইলে আনন্দ এবং তাহার পুত্ৰগণ একত্রে ভোগ ও অধিকার করিবে ; কিন্তু যদি আনন্দের স্কোপার্জিত সম্পত্তি হয়, তাহ লইলে আনন্দই শুধু ঐ সম্পত্তির মালিক হইবে, এরং তাহার জীবিতকালে বলরাম বা চন্দ্র প্রভৃতি পুত্ৰগণ কোন অংশেরই দাবী করিতে পারবে না। দুইভ্রাতা যদি একত্রে মতামহের সম্পত্তি পাইয়া থাকে, তাহা হইলে তৎসম্বন্ধে কতকটা পৈতৃক সম্পত্তির এবং কতকটা স্বোপাজ্জিত সম্পত্তির