পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তকগ্রহণ S কে দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন । যে ব্যক্তির পুত্র, পৌত্র বা প্রপৌত্ৰ বৰ্ত্তমান নাই তিনি দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন ; উহাদের মধ্যে কেহ বৰ্ত্তমান থাকিতে দত্তক গ্রহণ করা চলে না। কিন্তু শিশুপ্রপৌত্র (প্রপৌত্রের পুত্র ) বা দ্ৰৌহিত্র ব৷ ভ্রাতুপুত্র বা অন্য কোন জ্ঞাতিকুটুম্ব বর্তমানে দত্তক গ্রহণে বাধা নাই । কেহ যদি তাহার নিজের একমাত্র পুত্রকে অপরের নিকট দত্তকরূপে দান করিয়া দিয়া থাকেন তাহা হইলে তিনি অপুত্রক স্বরূপ গণ্য হইবেন, এবং দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন । ( শ্রবালুস্থ বঃ শ্ৰীবালুস্থ, ২২ মাদ্রাজ ৩৯৮, প্রিভিকেন্সিল ) । কোন ব্যক্তির পুত্র উন্মাদ গ্রস্ত, অন্মান্ধ, জন্মমূক, জন্মবধিব বা তুষ্ট গ্রস্ত হইলে ঐ ব্যক্তি দত্তক গ্রহণ করতে পারেন ( ১০ মুরস ইণ্ডিয়ান আপীলস্ ৪২৯ ), কারণ ঐ রূপ পুত্র যখন পিণ্ডদানাদি ধৰ্ম্মকাৰ্য্য কবিতে অক্ষম তখন সে থাকিয়াও না থাকা স্বরূপ গণ্য হইবে । সেইরূপ, কোন ব্যক্তির পুত্র সন্ন্যাসী হইয়৷ চলিয়া গেলে ঐ ব্যক্তি দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন । পুত্র বিধৰ্ম্মী হইলে পিতা দত্তক গ্রহণ কবিতে সক্ষম, কারণ যদিও ঐ পুত্র ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করা সত্ত্বে ও ১৮৫০ সালের ২১ আইন অনুসারে পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হুইবে বটে, তথাপি সে পিণ্ডদানাদি কাৰ্য্য করিতে অক্ষম, এবং ঐ কায্যের জন্য পিতা দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন। কিন্তু পুত্র নরুদ্দিষ্ট হই মু! চলিয়া গেলে পিতা কি দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন ? ঈহ! বড়ই কঠিন প্রশ্ন । • দত্তকগ্রহীতা যদি জুম্মান্ধ, জন্মবাধর, উন্মাদগ্ৰস্ত বা কুষ্ঠগ্রস্ত হন, তাই। হইলে তাহার দত্তকপুত্র ভুরণপোষণ মাএ পাইবে, সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইতে পারবে না। কারণ, দত্তক গ্রহীতা নিজেই যখন জন্মান্ধতা বা জন্মবধিরতা ইত্যাদি বশত: সম্পত্তির উত্তরাধিকার হইতে বঞ্চিত, তখন