পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তকগ্রহণ २> পুত্র যে যে স্থলে যেরূপভাবে ওয়ারিস হইয়া থাকে, দত্তকপুত্রও সেই সেই স্থলে সেইরূপ ভাবে ওয়ারিস হইয়া সম্পত্তি পাইবে । ইহার আর একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেওয়া যাইতেছে। এক ব্যক্তির দুই কন্যা আছে, তন্মধ্যে এক কন্যার গর্ভজাত পুত্র আছে, এবং এক কন্যার দত্তকপুত্র আছে ; এরূপস্থলে উভয় দৌহিত্রই সমানভাবে ঐ ব্যক্তির সম্পত্তি পাইবে ( স্থৰ্য্যকান্ত ব: মহেশচন্দ্র, ৯ কলিকাতা ৭০ ) { দত্তকগ্রহণের পর যদি দত্তকগ্রহীতার পুত্রসন্তান জন্মে, তাহা হইলে ঐ ঔরসজাত পুত্র যাহা পাইবেন তাহার অৰ্দ্ধেক অংশ দত্তকপুত্র পাইবেন । অর্থাৎ একজন ঔরসজাত পুত্র জন্মিলে সম্পত্তি তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া ঔরস পুত্র ঐ অংশ ও দত্তকপুত্র এক তৃতীয়াংশ পাইবেন । দুইজন ঔরস পুত্র জন্মিলে দত্তক এক পঞ্চমাংশ (ঃ) এবং ঔরস পুত্রগণ প্রত্যেকে ঐ অংশ করিয়া পাইবেন । তিন জন ঔরস পুত্র জন্মিলে দত্তক ৭ অংশ ও ঔরস পুত্ৰগণ প্রত্যেকে ঐ অংশ করিয়া পাইবেন । এইরূপ নিয়মে সম্পত্তির বিভাগ হইবে । পিতা যেমন ঔরসপুত্রকে ত্যজ্যপুত্র করিতে পারেন, দত্তকগ্রহীতাও সেইরূপ দত্তকপুত্রকে বঞ্চিত করিয়া সম্পত্তি অপর কাহাকেও দান করিয়া বা উইল দ্বার। দিয়া যাইতে পারেন । কারণ, ঔরসপুত্র সম্বন্ধে পিতা যাহা করিতে পারেন, দত্তকপুত্র সম্বন্ধেও তাহাই করিতে তিনি ক্ষমতাপন্ন ; ঔরসপুত্র অপেক্ষ দত্তকপুত্র অধিক ক্ষমতা পাইতে পারেন। ( ২২ মাদ্রাজ ৩৮৩ ) । কিন্তু যদি দত্তকগ্রহণ করিবার সময়ে দত্তকগ্রহীতা এইরূপ প্রতিশ্রুতি করিয়া চুক্তি করিয়া থাকেন যে, তিনি দত্তকপুত্রকে কোনও সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত করিবেন না, তাহ হইলে তিনি কোনও সম্পত্তি, অপর কাহাকেও হস্তান্তর করিয়া বা উইল করিয়া দিয়, যাইতে পারেন না (স্বরেন্দ্র বা দুর্গাম্বন্দরী, ১৯ কলিকাত। ৫১৩ ) । ..