পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তক গ্রহণ २७ করাইতে পারিবেন ( ভায় রবিদং ব: মহারাণী ইনার, ১৬ কলিকাতা e৫৬ গ্রিভি কৌন্সিল ) । ১ বিধবা স্ত্রীলোক দত্তকগ্রহণ করিলেই স্বামীজ্যক্ত সম্পত্তিতে র্তাহার জীবনস্বত্বের লোপ হয়, এবং উহাতে দত্তকপুত্রের নিবৃঢ়ি স্বত্ব জন্ম (মন্দাকিনী বঃ আদিনাথ ১৮ কলিকাতা ৬৯ ) । কোনও স্ত্রীলোক যদি তাহার পুত্রের মৃত্যুর পর তাহার সম্পত্তিতে জীবনস্বত্বে উত্তরাধিকারিণী হইয়া থাকেন, এবং তাহার পর তিনি দত্তকগ্রহণ করেন, তাহ হইলেও ঐ সম্পত্তিতে র্তাহার জীবনস্বত্ব লোপ হইবে, এবং দত্তকপুত্রের নিবৃঢ়ি স্বত্ব জন্মিবে ( ১ মাদ্রাজ ১৭৪ । কিন্তু পুত্রের স্বোপার্জিত সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হইয়া দত্তকগ্রহণ করিলে তিনি ঐ সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইবেন না । সেইরূপ, কোনও স্ত্রীলোক যদি তাহার পিতৃত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিণী হইয়া থাকেন, এবং তাহার পর তিনি দত্তক গ্রহণ করেন, তাহা হইলেও তিনি ঐ সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইবেন না । তিনি যতকাল বাচিবেন, ততকাল পিতৃত্যক্ত সম্পত্তি ভোগ করিবেন। কোনও বিধবা যদি দত্তক গ্রহণের পূৰ্ব্বে স্বামীত্যক্ত কোনও সম্পত্তি আইনসঙ্গত আবশ্যকতা ব্যতীত হস্তাস্তর করিয়া থাকেন তবে ঐ দত্তকপুত্র তাহ রহিত করিয়া সম্পত্তি দখল করিবার জন্য নালিশ করিতে পারেন । এরূপ নালিশ দত্তক গ্রহণের তারিখ হইতে ১২ বৎসরের মধ্যে করিতে হইবে ( তামাদি আইন, ১৪৪ দফা ) । কিন্তু বিধবা যদি হস্তান্তর করিবার সময়ে ভাবী উত্তরাধিকারীর সম্মতি লইয়া থাকেন, তাহা হইলে ঐ হস্তস্তর সিদ্ধ হইবে এবং দত্তকপুত্র তাহ রদ করিতে পারিবেন না ( ৩ উইকলি রিপোর্টার ১৪ ) । যদি আইনসঙ্গত আবশ্বকতা.হেতু বিধবা সম্পত্তি হুস্তান্তর করিয়া থাকেন, তাহা হইলে দত্তকপুত্র তাহ রদ করিতে ক্ষমতাপন্ন হইবে না ।