পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ ২৭ অন্যান্ত আইনে বিবাহ একপ্রকার চুক্তি বলিয়া গণ্য ; কিন্তু হিন্দু মাইনে তাহা নহে ; উহা একটা ধর্শ্বকাৰ্য্য বা সংস্কার। স্বামী-স্ত্রীর সম্বন্ধ ধৰ্ম্মসম্বন্ধ বলিয়া গণ্য, চুক্তি দ্বারা আবদ্ধ সম্বন্ধ নহে ; এবং সেজন্য হিন্দু ধৰ্ম্মশাস্ত্র অনুসারে বিবাহবন্ধন কিছুতেই ছিন্ন হয় না। কে বিবাহ করিতে পারেন । হিন্দু আইন অনুসারে কোনও ব্যক্তির বয়স ১৫ বৎসর পূর্ণ হইলেই সে সাবালক হয় এবং বিবাহ করিতে পারে। কিন্তু তাহ বলিয়া নাবালকের বিবাহ অসিদ্ধ নহে। তবে নাবালকের বিবাহে তাহার পিতা বা অন্য অভিভাবকের সম্মতি আবশ্যক , কিন্তু সম্মতি না থাকিলে যে বিবাহ অসিদ্ধ হইয়া যাইবে তাহা নহে। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্বগণের সম্বন্ধে আরও এই নিয়ম আছে যে তাহাদের উপনয়ন সম্পন্ন ন হইলে বিবাহ হইতে পারিবে না। যদি কেহ এরূপ উন্মাদগ্ৰস্ত বা বুদ্ধিহীন হয় যে, সে কি করিতেছে তাহা বুঝিবার ক্ষমতা তাহার নাই, তাহা হইলে তাহার বিবাহ অসিদ্ধ হইবে (মৌজিলাল বঃ চন্দ্রাবলী, ৩৮ কলিকাতা ৭০০ প্রিভি কেন্সিল) । কিন্তু অল্প মস্তিষ্কবিকৃতি থাকিলে ( যাহাকে চলিত কথায় ‘পাগলের ছিট’ বলা যায়) বিবাহ অসিদ্ধ হয় না । পুরুষত্বহানি হইলে তাহার বিবাহ সিদ্ধ কি না এ বিষয়ে এখনও আদালতে কোন নিম্পত্তি হয় নাই। কিন্তু বিষ্ণুপ্রণীত ধৰ্ম্মশাস্ত্রে লিখিত আছে যে, এরূপ ব্যক্তির বিবাহ নিষিদ্ধ। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বিবাহ ন হইলে কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিবাহ করিতে পারে মা ; কিন্তু যেস্থলে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বিবাহ করিতে অস্বীকার করেন, কিংবা বিদেশে বাস করেন, কিংবা উন্মাদবশতঃ বা অন্য কোন কারণে বিবাহ করিড়ে অক্ষম হন, য়ে স্থলে কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিবাহ করিতে পারে। কিন্তু ঐ সকল অবস্থা ব্যতীতও যদি জ্যেষ্ঠের পূৰ্ব্বে কনিষ্ঠের বিবাহ