পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ- छ्न् िवाङेन হইয়া যায় তাহা হইলেও উহা অসিদ্ধ হইবে না । কন্যার পক্ষেও এইরূপ নিয়ম আছে যে, জ্যেষ্ঠ ভগ্নী অবিবাহিত থাকিতে কনিষ্ঠার বিবাহ নিষিদ্ধ ; কিন্তু এরূপ বিবাহ হইলেও অসিদ্ধ হইবে না। এক স্ত্রী বৰ্ত্তমানে পুনরায় বিবাহ করিলেও, তাহ সিদ্ধ। কাহাকে বিবাহ করিতে পারা যায়। স্বধৰ্ম্মী ও স্বজাতির মধ্যে বিবাহ করিতে হইবে । ব্রাহ্মণ কায়স্থকে বিবাহ করিলে তাহা অসিদ্ধ হইবে । কিন্তু কোনও কোনও স্থলে ( যথা ত্রিপুর, চট্টগ্রাম ) কায়স্থের সহিত বৈদ্যের বিবাহ স্থানীয় প্রথানুসারে সিদ্ধ ( ৭ কলিকাতা উইকৃলি নোটস ৬১২) । কিন্তু একই জাতির বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে বিবাহ অসিদ্ধ নহে (১৫ কলিকাতা ৭০৮ ) । যথা, রাঢ়ী শ্রেণীয় ব্যক্তি যদি বারেন্দ্র শ্রেণীয় কন্যাকে বিবাহ করেন তাহা সিদ্ধ হইবে । সম্প্রতি একটী ফৌজদারী মোকদ্দমায় কলিকাতা হাইকোটের বিচারপতি প্যাণ্টন স্থির করিয়াছেন যে, কায়স্থের সহিত ডোমের বিবাহ যদি শাস্ত্রোক্ত বিধান মতে সম্পন্ন হয় তাহা হইলে উহা সিদ্ধ বলিয়া গণ্য হইবে ; কারণ উভয়েই যখন শূদ্র, তখন তাহাদের মধ্যে বিবাহ অশাস্ত্রীয় নহে (ভোলানাথ বঃ ভারতেশ্বর, ৫১ কলিকাতা ৪৮৮)। এই নিষ্পত্তি একেবারেই ভ্রান্ত, কারণ কায়স্থ ও ডোমের মধ্যে বিবাহ যে কিরূপে *শাস্ত্রোক্ত বিধানমতে অনুষ্ঠিত” হইতে পারে, ইহাই এক হাস্যকর কথা, কারণ হিন্দুশাস্ত্রই এইরূপ বিবাহের বিরোধী। উপরোক্ত মুেকদ্দমার ইউরোপীয় বিচারপতি এদেশীয় শাস্ত্র ও রীতিনীতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ, সুতরাং তিনি ঐ অদ্ভুত রায় দিয়াছেন ; এদেশীয় বিচারপতি হইলে তাহার নিম্পত্তি অন্যরূপ হইত, সন্দেহ নাই। ইহার পূৰ্ব্বে আরও একটী মোকদ্দমায় স্থির হইয়াছে যে, কায়স্থ ও তাতির মধ্যে বিবাহ