পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e8 श्न्गूि आहेन সম্পন্ন হওয়া চাই। এই ক্রিয়াগুলির মধ্যে কোনটা ইচ্ছাপূৰ্ব্বক পরিহার করিলে বিবাহ অসিদ্ধ হইবে । কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহ সম্বন্ধে কোনও বিশেষ প্রথা থাকিলে সেই প্রথানুসারে বিবাহ করিলে তাহা সিদ্ধ হইবে। যথা, বৈষ্ণবদিগের মধ্যে প্রথা আছে যে, কষ্ঠিবদল করিলেই বিবাহ সিদ্ধরূপে সম্পন্ন হইয়। যায়, তাহাদিগের আর কোনও অনুষ্ঠান আবশ্যক হয় না ; এবং আইনেব চক্ষে এরূপ বিবাহ অসিদ্ধ বলিয়া গণ্য হইবে না । ( সৌরভমণির বিষয়, ২৪ কলিকাতা উইকলি নোটস, ৯৫৮)। স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য । বিবাহের পর স্বামীই স্ত্রীর আইনমত অভিভাবক হন, এবং স্ত্রী স্বামীর বাটীতে বাস করিতে বাধ্য। কিন্তু কোন কোন স্থলে এরূপ প্রথা আছে যে, দ্বিতীয় সংস্কার না হওয়া পৰ্য্যন্ত স্ত্রী পিতৃগৃহে বাস করিতে পারেন। বিবাহের পূৰ্ব্বে যদি এইরূপ চুক্তি হয় যে, স্ত্রী কখনও স্বামীব গৃহে বাস করিবে না, কিংবা স্বামী পুনরায় বিবাহ করিলে স্ত্রী পিতৃগৃহে চলিয়া যাইবে, তাহা হইলে ঐ চুক্তি অসিদ্ধ হইবে (মনোমোহিনী বঃ বসন্তকুমার, ২৮ কলিকাতা ৭৫১ ) । সেইরূপ, বিবাহের পরও যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এইরূপ চুক্তি হয় যে, স্ত্রী স্বামীর নিকট হইতে পৃথকভাবে থাকিবে, এবং ভরণপোষণ পাইবে, তাহ হইলে ঐ চুক্তি অসিদ্ধ হইবে (রাজলক্ষ্মী বঃ ভূতনাথ, ৪ কলিকাতা উইকলি নোটস ৪৮৮)। ফলকথা এই যে, বিবাহের পর হইতেই স্ত্রী স্বামীর নিকট বাস করিতে বাধ্য। স্বামী যদি পুনরায় বিবাহ করেন (১ মাদ্রাজ ৩৭৫) বা অসচ্চরিত্র হন, তাহা হইলেও স্ত্রী স্বামীগৃহে বাস করিতে বাধ্য। কিন্তু যদি স্বামী স্ত্রীর প্রতি নির্দয় ব্যবহার ( প্রহার ) করেন ( দুলার ব: দ্বারক, ৩৪ কলিকাতা ৯৭১ ), কিংবা স্ত্রীকে মর্যাম্ভিক কষ্ট দেন (যথা