পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ O& গুহে উপপত্নী রাখা, ৩৪ কলিকাত ৯৭১) কিংবা গুরুতর সংক্রামক রোগে (যথা কুষ্ঠরোগ ) আক্রান্ত হন, তাহা হইলে স্ত্রী স্বামীর নিকট হইতে পৃথক থাকিতে এবং ভরণপোষণ আদায় করিতে পারেন। স্বামী ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করিলে, স্ত্রী স্বামী হইতে পৃথক থাকিতে পারেন (মুচু বঃ অর্জুন, ৫ উইকলি রিপোর্টার ২৩৫ ) । স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীকে কেহ স্বামীগৃহ হইতে অন্যত্র লইয়া যাইতে পারেন না। এমন কি, স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীকে যদি তাহার পিতাও লইয়া চলিয়া যান, তাহা হইলে তিনিও অপরাধী হইবেন ( ধরণীধর আসামী, ১৭ কলিকাতা ২৯৮ ) । কোন ব্যক্তি যদি স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীকে স্বামীগৃহ ত্যাগ করিতে সাহায্য করেন, কিংবা স্বামীর বিনা অমুমতিতে স্ত্রী গৃহত্যাগ করিয়া গেলে যদি কোন ব্যক্তি তাহাকে আশ্রয় দেন, তাহা হইলে ঐ ব্যক্তির নিকট হইতে স্বামী ক্ষতিপূরণ আদায় করিতে পারেন । স্বামীর মৃত্যুর পরও স্বামীগৃহে বাস করা স্ত্রীর কৰ্ত্তব্য, কিন্তু তথাপি উপযুক্ত কারণ থাকিলে তিনি তথায় বাস না করিতে পারেন। স্বামীগৃহে থাকা শুধু যে স্ত্রীর কৰ্ত্তব্য তাহা নহে, স্ত্রীর উহাতে অধিকারও আছে। স্বামী স্ত্রীকে নিজগৃহে উপযুক্ত স্থান দিতে এবং তাহাকে ভরণপোষণ করিতে বাধ্য। তিনি কিছুতেই স্ত্রীকে বিনাকারণে পরিত্যাগ করিতে পারেন না । বিধবার পুনর্বিবাহ। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রে বিধবার পুনৰ্ব্বিবাহ একপ্রকার নিষেধই ছিল, এবং সেজন্য সমাজে উছা মোটেই প্রচলিত নাই। কেবলমাত্র ভারতবর্ষের কয়েকট ক্ষুদ্র’ক্ষুদ্র স্থানে উহা কতকগুলি নিম্ন শ্রেণীর মধ্যে স্থানীয় প্রথানুসারে সম্পন্ন হইয়া থাকে। •