পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शिन्नू आहेन وكاO কিন্তু ১৮৫৬ সালে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় পরাশরের একটা গ্রন্থ অবলম্বন করিয়া বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন করেন, এবং তাহার চেষ্টায় হিন্দু বিধবাগণের পুনৰ্ব্বিবাহ বিষয়ক ১৮৫৬ সালের ১৫ আইন প্রবর্তিত হয়। কিন্তু ঐ আইনসত্বেও হিন্দু সমাজে বিধবাবিবাহ প্রচলিত নাই বলিলেও চলে। তবে পূৰ্ব্বে উহা একেবারে অসিদ্ধ ছিল, এখন উহা আইনানুসারে সিদ্ধ বলিয়া গণ্য হইবে। যদি ঐ বিধবার পূর্বস্বামীর সহিত সহবাস না হইয়া থাকে, তাহা হইলে ঐ কন্যার বিবাহে নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ পর পর অভিভাবক হইবেন –পিতা, পিতামহ, মাতা, ভ্রাতা, অন্যান্য পুরুষ জ্ঞাতি। যদি পূৰ্ব্বস্বামীর সহিত ঐ কন্যার সহবাস হইয়া থাকে, কিংবা যদি ঐ কন্য সাবালিকা হয়, তাহা হইলে সে স্বেচ্ছাক্রমে স্বামী নিৰ্ব্বাচন করিতে পরিবে ( উক্ত আইন, ৭ ধারা ) । হিন্দু-বিধবা বিবাহ করিলে তিনি আর তাহার প্রথম স্বামীর ঔরসজাত সন্তানগণের অভিভাবক হইতে পারিবেন না ( ৩ ধারা ), তাহার সম্পত্তি হইতে ভরণপোষণ পাইতে পারিবেন না, এবং তাহার স্বামীর সম্পত্তি তিনি যদি পাইয়া থাকেন ( স্বামীর উত্তরাধিকারিণী স্বরূপে বা পুত্রের উত্তরাধিকারিণী স্বরূপে হউক ), তাহা হইলে ঐ সম্পত্তি আর তিনি অধিকার করিতে পারিবেন না ( ২ ধারা ) । কিন্তু এস্থলে ইহা জানিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য যে, যে সম্পত্তি তিনি পুনৰ্ব্বিবাহের সময়ে ভোগ করিতেছেন সেই সম্পত্তি হইতেই তিনি বঞ্চিত হইবেন, যদি ভবিষ্যতে র্তাহার প্রথম স্বামীর সম্পৰ্কীয় কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি তাহাতে অৰ্শায়, সে সম্পত্তি হইতে তিনি বঞ্চিত হইবেন না। যদি তাহার পুনৰ্ব্বিবাহের পর তাহার প্রথম পক্ষের श्रृंशैब ঔরসে নিজ গর্ভজাত পুত্র অবিবাহিত অবস্থায় পরলোকগমন করে, তাহা হইলে তিনি ঐ সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হইতে পারিবেন (১১উইকলি রিপোর্টার ৮২)।