পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ ףס অন্যান্য কথা । বিবাহে বরকর্তা এবং কন্যাকৰ্ত্ত এই উভয়পক্ষের স্বাধীন সম্মতি থাকা চাই। স্বতরাং যদি কোন বিবাহ বলপূর্বক কিংবা প্রতারণাপূৰ্ব্বক সম্পন্ন হয়, এবং তাহাতে যদি ভবিষ্ণুতে কন্যার অমঙ্গল হইবার আশঙ্ক থাকে, তাহা হইলে আদালত এই বিবাহ রদ করিতে পারেন। কিন্তু যদি ঐ বিবাহে কন্যার কোন অমঙ্গলের আশঙ্কা না থাকে, তাহা হইলে আদালত উহা রদ করিবেন না। কারণ পূৰ্ব্বে লিখিত হইয়াছে যে, বিবাহ অসিদ্ধ সাব্যস্ত হইলে কন্যার সমাজিক অবস্থা বড়ই শোচনীয় হইয়া দাড়ায় ; এবং সেজন্য বিবাহের পর আদালত প্রায়ই হস্তক্ষেপ করেন না । পূৰ্ব্বেই লিখিত হইয়াছে যে, হিন্দুবিবাহ কিছুতেই বিচ্ছিন্ন হয় না। স্বামী যদি স্ত্রীকে পরিত্যাগ করেন তাহা হইলেও বিবাহবন্ধন যেমন তেমনিই থাকে এবং স্বামী অপুত্রক অবস্থায় পরলোকগমন করিলে স্ত্রী তাহার সম্পত্তিতে উওরাধিকারিণী হইবেন। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কোন পক্ষ যদি ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করেন এবং ভজন্য অপরপক্ষ তাহাকে পরিত্যাগ করেন, তাহা হইলে আদালত ১৮৬৬ সালের ২১ আইন অনুসারে ঐ বিবাহ বন্ধন ছিন্ন বলিয়া সাব্যস্ত করিতে পারেন। ইহাই হিন্দুবিবাহ বিচ্ছেদের একমাত্র উদাহরণ।