পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাবালক ও অভিভাবক 8X (৩) পিতা ও মাতার অভাবে ভ্রাতা অভিভাবক হইবেন । (৪) তদভাবে পিতৃকুলের আত্মীয় ; যথা পিতামহ, পিতৃব্য, প্রপিতামহ ইত্যাদি । বিমাতা অপেক্ষ পিতামহী অভিভাবকরূপে নিযুক্ত হইবেন (৭ উইকলি রিপোর্টার ৩২- ) । (৫) তদভাবে মাতৃকুলের আত্মীয় —যথা, মাহামহ, মাতুল । উপরোক্ত ব্যক্তিগণ নাবালক কন্যারও অভিভাবক। কিন্তু কন্যার বিবাহ হইয়া গেলে, স্বামীই নাবালক স্ত্রীর অভিভাবক। স্ত্রীর দ্বিতীয় সংস্কার না হইয়া থাকিলেও বা পিতৃগৃহে থাকিলেও স্বামীই অভিভাবক হইবেন । স্বামীর মৃত্যুর পর নাবালক বিধবার শ্বশুর, ভাস্কর, দেবর প্রভৃতি স্বামীকুলের জ্ঞাতিগণই অভিভাবক হইবেন । র্তাহাদের অভাবে পিতা, মাতা, ভ্রাতা প্রভৃতি অভিভাবক হইতে পারেন ( ক্ষুদিরাম বঃ বনোয়ারী, ১৬ কলিকাতা ৫৮৪ ; সতীশ বঃ কালিদাস, ৩৪ কলিকাতা ল জার্ণাল ৫২৯ ) । যথা, বিধবার ভ্রাতা অপেক্ষা স্বামীর ভাগিনেয়কে আদালত অভিভাবকরূপে নিযুক্ত করিবেন (১৬ কলিঃ ৫৮৪ ) । যদি ঐ বিধবা অল্পবয়স্ক ( ১২ কি ১৩ বৎসর বয়স্ক ) বালিকা হয় তাহা হইলে তাহার স্বামীকুলের দূরজ্ঞাতি অপেক্ষ পিতাই অভিভাবক থাকা বাঞ্ছনীয় ( ৩৩ এলাহাবাদ ২২২ ) । পূর্বেই লিখিত হইয়াছে যে পিতাই তাহার সন্তানগণের স্বাভাবিক অভিভাবক। অবিবাহিত কন্যার পক্ষে মাতা অপেক্ষ পিতাই অগ্রগণ্য অভিভাবক ( প্রাণকৃষ্ণ, ৮ কলিকাতা ৯৬৯ ) । আদালত তাহাকে সহজে বা সামান্ত কারণে অভিভাবকত্ব হইতে দূরীভূত করিতে পারেন না। তিনি যদি তাহার স্ত্রীর নিকট হইতে পৃথকভাবে বাস করেন, তাহা হইলেও তিনি সস্তানগণকে নিজের কাছে রাখিতে পারিবেন ( ৪৪ এলাহাবাদ ৫৮৭ ) । তিনি অসচ্চরিত্র হইলেও র্তাহার সস্তানগণের